বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাছ কেটে গাছ লাগাব, তা করা যাবে না: বুয়েট উপাচার্য

  •    
  • ২৬ জুন, ২০২১ ১৮:৪৯

উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, ‘পরিবেশকে রক্ষার জন্য এত বছর চেষ্টা করা হয়নি৷ এজন্যই আমরা এখন কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছি। যদি আমরা আগে থেকেই চেষ্টা করতাম তাহলে এখন পরিবেশ ঠিক থাকতো, আমাদের মাস্ক পড়তে হতো না। এজন্য পরিবেশকে অবহেলা করা যাবে না।’

একটি গাছ কাটার আগে শতবার ভাবার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার।

তিনি বলেন, ‘এখন বন কেটে শহর বানানো হচ্ছে। বন এবং পাহাড় না কেটে এগুলোকে যেন রক্ষা করা যায় সেদিকে আমাদের নজর দিতে হবে। একদিকে গাছ কাটব আর অন্যদিকে গাছ লাগাব সেটি করা যাবে না ৷ বনায়ন করতে হলে বনকে রক্ষাও করতে হবে।’

শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিদপ্তর আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, ‘গাছ কাটো আর ব্যবসা করো’ আমাদের এই মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। গাছকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। বন না কেটেও শহর বানানো যায়।’

তিনি বলেন, ‘তাল গাছ বজ্রপাত আটকে দেয়। আগে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে তাল গাছ ছিল। এখন এসব তাল গাছ তেমন নেই বলেই বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে আর মানুষ মারা যাচ্ছে। পরিবেশকে রক্ষার জন্য এত বছর চেষ্টা করা হয়নি৷ এজন্যই আমরা এখন কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছি।

‘যদি আমরা আগে থেকেই চেষ্টা করতাম তাহলে এখন পরিবেশ ঠিক থাকতো, আমাদের মাস্ক পড়তে হতো না। এজন্য পরিবেশকে অবহেলা করা যাবে না।’

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো আবদুস সবুর এবং বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।

উপাচার্যের বক্তব্যের আগে আওয়ামী লীগের বন পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বুয়েট অধ্যাপকদের পরিবেশ নিয়ে কথা বলার অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে প্রায় সব সেক্টরে আপনারাই আমাদের পথ দেখান। পরিবেশ নিয়েও যদি আপনারা কিছু বলেন তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই আন্দেলনটি নতুন মাত্রা পাবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান বাংলাদেশকে অন্তত ২৫ ভাগ বনভূমিতে উন্নত করা, আপনাদের সহযোগিতা এবং নির্দেশনা পেলে সেটি আমরা করতে সক্ষম হবো।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা এসব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। আপনারা মানুষদের এসব বিষয়ে বললে মানুষ অন্যরকম সম্মানের সাথে সেটি গ্রহণ করবে।’

দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে পরামর্শ নেয়ার জন্য আমরা আপনাদের সাথে যোগাযোগ করব। আপনাদের সহযোগিতা এবং নির্দেশনা পেলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পথচলা আরও বেশি গতিশীল হবে।’

বুয়েটের স্থাপত্য অনুষদের ডীন সাব্বির রহমান বলেন, ‘গাছপালা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা আমাদের প্রতিদিনের ব্রত হওয়া উচিত। আমরা যখন কোনো অবকাঠামো করব তখন ম্যাচিউরড যে গাছ, পরিবেশ, উদ্যান, মাটি এবং পানি আছে এগুলো যেন কোনোভাবে বিপর্যস্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এটি করলে একশ গাছ লাগানোর চেয়ে বেশি কাজ হবে৷

তিনি বলেন, ‘গাছ লাগানো যা, গাছ না কাটাও তা। আমি একটা গাছ লাগাব, সেটি পরিপক্ক হতে অনেক সময় লাগবে। কিন্তু একটা সম্পূর্ণ গাছ যদি আমরা কেটে ফেলি তাহলে সেটি পরিবেশের জন্য ভালো হবে না। আমাদের উন্নয়ন এবং অবকাঠামো দরকার ঠিক কিন্তু আমাদের পরিবেশও দরকার।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বুয়েটের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড আব্দুল জব্বার খাঁন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর।

অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের পাশে তিনটি ডাব গাছ লাগানো হয়। আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ কমিটির পক্ষ থেকে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে এক হাজার গাছ উপহার হিসেবে দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর