করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সব পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় ঘরমুখী হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল সভায় শুক্রবার বিকেলে সকল পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সভা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহের।
শনিবার সকাল থেকেই বাড়ি ফিরছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সভায় লকডাউনে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে সব বিভাগীয় শহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মোহন মিয়া। তার বাড়ি নরসিংদী। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা কিছুটা কমে আসায় আমাদের পরীক্ষা হচ্ছিল। এখন আবার হুট করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভার্সিটিও বন্ধ করে দিল।
‘কবে নাগাদ ক্যাম্পাস খুলবে তা তো জানি না। সময়তো আর আমাদের জন্য বসে থাকবে না।’
রেজিস্ট্রার আবু তাহের বলেন, ‘পরীক্ষা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সব পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে একাডেমিক কাউন্সিল।
‘এ ছাড়াও ট্রেজারার স্যারের তত্ত্বাবধানে প্রক্টরিয়াল বডি ও প্রভোস্ট বডির সমন্বয়ে শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে সব বিভাগীয় শহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস যাবে।’
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে পরীক্ষা কমিটির এক সভায় সশরীরে চলমান সব পরীক্ষা স্থগিত করার সুপারিশ করা হয়।
দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছরের ১৭ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ও এ বছরের ১৩ জুন দ্বিতীয় ধাপে সশরীরে পরীক্ষা শুরু করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দুবারই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।