বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উচ্চশিক্ষার ফি অভিভাবকের সামর্থ্যের ভিত্তিতে করার পরামর্শ

  •    
  • ২৪ জুন, ২০২১ ২৩:৪২

‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় বহুলাংশে বৃদ্ধি করা সম্ভব। দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের সুযোগ পান। সমাজের বিত্তবান অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের জন্য উচ্চশিক্ষার যুক্তিসঙ্গত ব্যয় বহন করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে-যা থেকে গরিব শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা সম্ভব হবে।’

ভর্তুকির টাকায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকা উচিত নয় বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমেদ। তার মতে, দরিদ্রদের পরোক্ষ করের টাকায় ধনী পরিবারের সন্তানদের প্রায় বিনামূল্যে উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদান অযৌক্তিক।

মমতাজের পরামর্শ উচ্চশিক্ষার খরচ সামর্থ্যের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হোক।

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন বক্তৃতায় এসব কথা বলেন কোষাধ্যক্ষ। অধিবেশনে ২০২১-২২ অর্থবছরের উপস্থাপিত বাজেট সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড মো আখতারুজ্জামান।

এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট বাজেট ৮৩১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (বিমক) অনুদান দেবে ৬৯৬ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা আর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা।

এই টাকা যা শিক্ষার্থীদের ফিস, ভর্তি ফরম বিক্রি, বেতন ভাতা, সম্পত্তি এবং বিবিধ থেকে আয় হবে। সে হিসেবে বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৭০ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা।

এ বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ অফুরন্ত নয়। নিজস্ব আয় খুবই সীমিত। এই আয়ের সঙ্গে প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন-এর মাধ্যমে সরকারের দেয়া অনুদান যুক্ত হয়। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশাসনিক ব্যয় সচ্ছলতার সঙ্গে মেটানো বেশ কঠিন কাজ। তারপরও বলতে হয় আমরা এখনো সর্ব পর্যায়ে ব্যয় সচেতন হইনি। ফলশ্রুতিতে, এই সীমিত অর্থ যথাযথ ব্যবহার না হয়ে অপচয় হচ্ছে।’

শিক্ষার্থীরাই আয়ের উৎস হতে পারে বলে মনে করেন তিনি। বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় বহুলাংশে বৃদ্ধি করা সম্ভব। দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের সুযোগ পান। সমাজের বিত্তবান অভিভাবকগণ তাঁদের সন্তানদের জন্য উচ্চশিক্ষার যুক্তিসঙ্গত ব্যয় বহন করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে-যা থেকে গরিব শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা সম্ভব হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় বাড়লে সরকারের উপর নির্ভরশীলতা ক্রমান্বয়ে কমবে উল্লেখ করে এ ব্যাপারে সিনেট সদস্যদের সুচিন্তিত পরামর্শও আশা করেন কোষাধ্যক্ষ।

কবে খুলবে বিশ্ববিদ্যালয়

কোষাধ্যক্ষ জানান, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এবং শিক্ষার্থীদের টিকাদান শেষ হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম আরম্ভ করব।

তিনি বলেন, ‘বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে হবে। মেডিক্যাল সেন্টারে আইসোলেশন সুবিধাদি নিশ্চিত করতে হবে।’

এখনই বিশ্ববিদ্যালয় না খোলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারি না।’

সিনেট অধিবেশনের শুরুতে করোনাকালে নিহত স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ, ফিলিস্তিনের উপর ইজরায়েলের হামলার নিন্দা এবং নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

এরপর উপাচার্যের অভিভাষণের মাধ্যমে শুরু হয় বার্ষিক অধিবেশনের মূল কর্মসূচি।

অধিবেশনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, সহ উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ। ছাত্র প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নুরুল হক নুর, সাদ্দাম হোসেন, সনজিত চন্দ্র দাশ এবং তিলোত্তমা শিকদার। এছাড়া পাঁচজন সংসদ সদস্যও অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন, ওবায়দুল মোকতাদির, দীপঙ্কর তালুকদার, গোলাম আবদুস সোবহান, মেহের আফরোজ চুমকি, মঞ্জুরুল হাসান।

এ বিভাগের আরো খবর