বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাবি কোষাধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ ‘বিতর্কিত’ নিয়োগপ্রাপ্তদের

  •    
  • ২০ জুন, ২০২১ ১৯:১৩

নিয়োগপ্রাপ্তরা জানান, কর্মস্থলে যোগদানের বিষয়ে রোববার উপাচার্যের সঙ্গে তাদের আলোচনায় বসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আলোচনায় বসেননি। এ জন্য তারা ফের প্রশাসন ভবনে তালা দেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ‘বিতর্কিত’ নিয়োগপ্রাপ্তদের কর্মস্থলে যোগদান নিয়ে বৈঠক না হওয়ায় কোষাধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটেছে।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান আল-আরিফকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন ‘বিতর্কিত’ নিয়োগপ্রাপ্তরা। তিন ঘণ্টা খোলা থাকার পর প্রশাসনিক ভবনে ফের তালাও ঝুলিয়েছেন তারা।

সাবেক উপাচার্যের মেয়াদের শেষ দিনে বিতর্কিতভাবে নিয়োগ পাওয়া এসব আন্দোলনকারীরা জানান, কর্মস্থলে যোগদানের বিষয়ে রোববার উপাচার্যের তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আলোচনায় বসেননি। এ জন্য তারা ফের পুনরায় প্রশাসন ভবনে তালা দেন।

এর আগে শনিবার রাবি ফিন্যান্স কমিটির সভা ও সিন্ডিকেট সভা পণ্ড করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও ভিসির বাসভবনে তালা লাগিয়ে দেন তারা। শনিবার সকাল ৯টার দিকে তালা লাগানোর পর রোববার সকাল ৮টায় আলোচনার জন্য তালা খুলে দেয়া হয়। তবে উপাচার্য না আসায় বেলা ১১টার দিকে আবার প্রশাসনিক ভবনে তালা দেয়া হয়।

রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও নিয়োগপ্রাপ্ত আতিকুর রহমান সুমন বলেন, ‘আমরা কোনো প্রকার সমাধান না পাওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো মিটিং অনুষ্ঠিত হতে দেব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘শনিবার উপাচার্য (রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন আজ (রোববার) ১০টায় আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। কর্মস্থলে যোগদানের বিষয়ে কথা বলবেন। তাই আমরা সকাল ৮টায় প্রশাসন ভবনের তালা খুলে দিয়েছিলাম।

‘কিন্তু ১০টার পরও তিনি অফিসে আসেননি। আমরা জানতে পেরেছি, তিনি আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি নন। তাই পুনরায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনে তালা দিয়েছি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করা হয়।’

উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমার আজ বসার কথা ছিল। কিন্তু বসতে পারিনি। কারণ গতকাল তারা আমার বাসভবনের সামনে এসে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়েছে এবং অশোভনীয় আচরণ করেছে।

‘এতে আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছি। এ জন্য আমি তাদের সঙ্গে দেখা করিনি।'

নিয়োগপ্রাপ্তদের দাবির বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমরা তাদের কথা শুনিনি, বিষয়টা এমন নয়। তারা ফিন্যান্স কমিটির সভা ও সিন্ডিকেট সভা বন্ধ করতে বলেছে, আমরা তা বন্ধ রেখেছি।

‘এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটা চিঠি পাঠিয়েছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তাদের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা তাই করব।’

গত ৬ মে উপাচার্য হিসেবে শেষ কার্যদিবস পালন করেন অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। মেয়াদের শেষ দিনে তিনি বিভিন্ন পদে অ্যাডহক ভিত্তিতে ১৩৭ জনকে নিয়োগ দেন।

বিতর্কিত এই নিয়োগকে ‘অবৈধ ও বিধিবহির্ভূত’ উল্লেখ করে ওই দিন সন্ধ্যায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২৩ মে সেই কমিটির দেয়া প্রতিবেদনেও এই নিয়োগকে ‘অবৈধ’ উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জড়িতদের নাম প্রকাশ করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর