করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সশরীরে পরীক্ষা দিতে অনাগ্রহী হলে সেটি নিজ নিজ বিভাগের চেয়ারম্যান বা ইনস্টিটিউট পরিচালককে জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল।
করোনা সংক্রমণ বাড়ায় শিক্ষার্থীদের সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে জানতে শনিবার সন্ধ্যায় ফোন দেয়া হলে তিনি এ পরামর্শ দেন।
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার বাড়ছে। কয়েকটি জেলায় লকডাউনও চলছে। সর্বশেষ গত একদিনে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে যা গত দেড় মাসের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু বিভাগ-ইনস্টিটিউট আগেই অফলাইন পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করছে।
এমন পরিস্থিতিতে সেগুলো নিয়ে কী ভাবা হচ্ছে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলছেন, ‘শিক্ষার্থীদের মত নিয়েই এসব তারিখ দেয়া হয়েছে। কোনো বিভাগই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা না করে তারিখ দেয়নি। যেসব বিভাগে ছাত্ররা অনলাইনে দিতে চেয়েছে সেখানে অনলাইনে নেয়া হচ্ছে। যেখানে শিক্ষার্থীরা সশরীরে চেয়েছে সেখানে সশরীরে পরীক্ষা তারিখ দেয়া হয়েছে।
মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আমরা বলেছি যদি করোনা সংক্রমণ বাড়ে এবং পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তাহলে অনলাইনে পরীক্ষা নিবে। সেটা আমরা আগেই বলেছি। সে সুযোগ আছে। শিক্ষার্থীরা সশরীরে পরীক্ষা না চাইলে সেটি বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের জানাতে বল।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, ‘বিভাগ এবং ইনস্টিটিউটগুলো শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরীক্ষার তারিখ দেয়। সেভাবেই নির্দেশনা দেয়া আছে। চাপিয়ে দেয়ার কিছু নেই। প্যানডেমিকের মধ্যে খুব সাবধানে, ঢাকাতে যাদের একোমোডেশন হবে, ছেলে মেয়েদের নিরাপত্তা দিয়ে, পরীক্ষা হলের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এগুলো করবে।’