শিক্ষা খাতে প্রস্তাবিত বাজেট বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় অন্যান্য খাতের বরাদ্দ কমিয়ে শিক্ষা খাতের বাজেট বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। লিখিত বক্তব্যে তিনি ৬টি দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো—করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক প্রণোদনা কিংবা বিশেষ বৃত্তির ব্যবস্থা। সব শিক্ষার্থীর জন্য বিনা মূল্যে ডিভাইস, খাতা-কলমসহ অন্যান্য শিক্ষাসামগ্রী প্রদান। মাধ্যমিক পর্যায়ের (স্কুল, মাদ্রাসা, কারিগরি) শিক্ষার্থীদের দুপুরে সরকারি উদ্যোগে খাবার সরবরাহ।
দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় হতাশা, মোবাইল কিংবা ইন্টারনেট আসক্তিসহ বিভিন্ন কারণে অনেক শিক্ষার্থী এমনকি অনেক অভিভাবকও মানসিক বিপর্যয়ের শিকার। তাদের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে চিকিৎসা কিংবা কনসালটেশনের ব্যবস্থা করা।
অতিদ্রুত বিভিন্ন বোর্ডের যথাযথ নিয়মে এফিলিয়েশনপ্রাপ্ত সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি (স্বতন্ত্র এবতেদায়ি, অনার্স/মাস্টার্সসহ) প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত এবং ঐচ্ছিক বদলি বাস্তবায়ন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের শতভাগ বোনাস, উৎসব ভাতা, মেডিক্যাল ভাতা ও বাড়ি ভাড়া দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া।
করোনার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কারিগরি তথা কর্মমুখী শিক্ষার প্রতি বিশেষ নজর দিতে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডকে ঢেলে সাজানো।
সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকাল এবং ভবিষ্যৎ চাকরিজীবনের কথা বিবেচনায় রেখে অন্তত দুটি শিক্ষা সেশনের মেয়াদ এক বছরের স্থলে ৮/৯ মাস করা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সাজিদুর রহমান, সাইদুর রহমান পান্না, অধ্যক্ষ মোনতাজ উদ্দিন মর্তুজা, হারুন অর রশিদ, মো. শান্ত ইসলামসহ আরও অনেকে।