দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এর পরে প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা যাবে কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য নেই সরকারের।
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে একটি স্কুলে ক্লাস নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা।
বিষয়টি স্বীকার করেছেন স্কুল কমিটির সভাপতি। তবে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ বলেছেন, ক্লাস চালু নয়, খোলা রাখা হয়েছে অফিস।
জীবননগরের উথলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থতি আইডিয়াল প্রি-ক্যাডেট কিন্ডারগার্টেনে চলতি মাসের শুরু থেকে নিয়মিত ক্লাস চালু রেখেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। এতে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করছেন অভিভাবকরা।
তাদের অভিযোগ, ওই এলাকায় কয়েকজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শিক্ষকদের বিষয়টি বারবার বলেও কোনো লাভ হয়নি।
ওই স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন, ‘এই মহামারির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকার কথা বললেও অধ্যক্ষ নিজ দায়িত্বে খুলে দিয়েছেন। শিক্ষকরা একক সিদ্ধান্তে এটা করেছেন। এ বিষয়ে মালিকপক্ষের কারও সঙ্গে শিক্ষকরা কোনো আলোচনা করেননি।
‘অভিভাবকদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ইমরান হোসেনকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার জন্য বলেছি। এরপর কোনো শিক্ষার্থী যদি করোনা আক্রান্ত হয়, তাহলে তার দায়ভার আমরা নেব না।’
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ইমরান হোসেন পাঠদানের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘শুধু অফিস খুলে রাখা হয়েছে। কোনো পাঠদানের কাজ চলছে না।’
জীবননগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, উথলী আইডিয়াল প্রি-ক্যাডেট কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাঠদান বন্ধ করার জন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
স্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, বুধবার দুপুরে প্রতিষ্ঠানে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী র্কমর্কতা অভিযান চালাতে আসছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর দ্রুত স্কুল বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন অধ্যক্ষ ইমরান হোসেন।
এ বিষয়ে জানতে ইমরানকে কল করেও পাওয়া যায়নি।