রোডম্যাপ ঘোষণা করে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলাসহ ৪ দফা দাবিতে প্রগতীশীল ছাত্রসংঠনগুলোর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
মিছিলটি বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শুরু হয়। এরপর শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, কদমফোয়ারা মোড় হয়ে সচিবালয়ের সামনে আসলে পুলিশ আটকে দেয়।
এ সময় তারা ব্যারিকেড সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। পরে সেখানেই অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন তারা।
এ সময় জোটের নেতা কর্মীরা ‘শিক্ষা কোন পণ্য নয়’, ‘শিক্ষা আমার অধিকার’, ‘কর আরোপ যেখানে, লড়াই হবে সেখানে’, ‘স্কুল কলেজ খুলে দাও, নইলে গদি ছেড়ে দাও’, ‘শিক্ষার ওপর কর আরোপ চলবে না, বাতিল করো’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়।
জোটের ৪ দফা দাবি:
# রোডম্যাপ ঘোষণা করে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা
# বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের উপর আরোপিত ১৫ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার
# সব শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে টিকাদান
# করোনায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেতন-ফি মওকুফ করা
সচিবালয়ের সামনের সমাবেশে জোটের সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘করোনার কারণে অনেক শিক্ষার্থী এমনিতেই জড়ে পড়ছে। তার ওপর শিক্ষার ওপর কর আরোপের কারণে শিক্ষার্থীদের জড়ে পরার হার আরও বেড়ে যাবে৷ আমরা অবিলম্বে সকল শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় এনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি করছি৷ পাশাপাশি বাজেটে শিক্ষার ওপর যে কর আরোপ করা হয়েছে তা বাতিল করতে হবে।’
ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী এত নরম সুরে কথা বলেন, সকল শিক্ষার্থীরা গলে যায়। উনি মন্ত্রী না, ছলনাময়ী নারী। আমরা তার আর কোনো কথা শুনব না। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালা আমরা ভেঙে ফেলব। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি আল কাদেরী জয় বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী একজন সার্কাস মন্ত্রী। জনগণের শিক্ষার অধিকারের সাথে তিনি সার্কাস খেলেছেন। এই সার্কাস অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এই সরকার করোনা মহামারির চেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর। অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে৷ তা না হলে আমরা আরও বিশাল মিছিল নিয়ে আসব।’