বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এসএসসি-এইচএসসি নিয়ে সিদ্ধান্ত এখনও অস্পষ্ট

  •    
  • ১৫ জুন, ২০২১ ১৩:৩৫

গত রোববার চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়া সম্ভব না হলে বিকল্প ব্যবস্থার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে মঙ্গলবার মন্ত্রী বললেন ভিন্ন কথা।

চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে কি না, তা করোনাভাইরাস পরিস্থিতি দেখে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মঙ্গলবার ঢাকার কেরানীগঞ্জের জাজিরা মোহাম্মদিয়া আলীয়া মাদ্রাসায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এ তথ্য জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে আটকে থাকা চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে কি না, তা এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। এখনও চেষ্টা হচ্ছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি অনুযায়ী পরীক্ষা না নিতে পারলে বিকল্প কী মূল্যায়ন হতে পারে, সেসব নিয়েও কাজ চলছে।’

ইডেন কলেজে অপর এক অনুষ্ঠানে দীপু মনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ভাবতে পারছি না। কারণ সংক্রমণের হার এখন প্রায় ১৫ শতাংশ। যদিও অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা এখন ভালো অবস্থানে আছি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৫ শতাংশের কম শনাক্তের হাল হলে খুলে দেয়া যায়।

‘আমাদের যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে সেটিও সংক্রমণের হার কম থাকার একটা বড় কারণ। বিশ্বের যেখানেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে সেখানেই সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে।’

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণের কথা বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ নিয়ে বিকল্প সব বিষয় মাথায় রেখে কাজ চলছে। আমাদের শিগগিরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

৩০ জুন স্কুল-কলেজ খুলবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সবকিছু নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর।’

এলাকাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সব জায়গায়ই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। এ মুহূর্তে এলাকাভিত্তিক স্কুল-কলেজ খোলার সুযোগ নেই।’

এর আগে গত রোববার চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়া সম্ভব না হলে বিকল্প ব্যবস্থার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেছিলেন, ‘২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য আমরা চেষ্টা করছি সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার। এখন সেটিও যদি না হয়, আমরা তার বিকল্প নিয়েও চিন্তা করছি।

‘কিন্তু এখন পরীক্ষা আমরা নিতে পারব কি না, পরীক্ষা নিতে না পারলে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা থাকলে, তার সবকিছু নিয়েই কিন্তু আমাদের চিন্তাভাবনা আছে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমারা দেখেছি অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভালো করছে। এসএসসির জন্য ৬০ দিন এবং এইচএসসির জন্য ৮৪ দিনের অ্যাসাইনমেন্ট আমরা দিচ্ছি। আমরা চেষ্টা করে যাব, আরও কিছুদিন হয়ত দেখতে হবে। যদি দেখি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একবারেই খোলা সম্ভব হচ্ছে না তখন আমরা বিকল্প অনেক কিছুই চিন্তা করে রেখেছি।

‘কী কী সিনারিও হতে পারে তারও চিন্তা করছি। সব রকমের সিনারিও চিন্তা করে কী কী সম্ভাব্য বিকল্প থাকতে পারে সেটা নিয়ে কাজ করছি। যদি পরীক্ষা নেওয়া না যায় তাহলে বিকল্প কীভাবে মূল্যায়ন হতে পারে, সেগুলো আমরা ভাবছি।’

গত বছরের মার্চে করোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ার ঠিক আগেই এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা আটকে যান।

ছুটির সময় কোনো পাবলিক পরীক্ষা হয়নি। আর উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ফল প্রকাশ করা হয় তাদের এসএসসি ও জেএসসির ফলের গড় করে।

এ বিভাগের আরো খবর