পুলিশের ৩৮তম বহিরাগত ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) নিরস্ত্র পদে নিয়োগ পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাবেক ১০৬ জন শিক্ষার্থী।
প্রশিক্ষণ শেষে পুলিশের এসআইদের বার্ষিক স্মরণিকা ‘বন্ধন’ থেকে এই তথ্য জানা যায়।
এসআই পদে নিয়োগ পাওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সাবেক শিক্ষার্থীও নিউজবাংলার প্রতিবেদককে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তবে ১০৬ জন নিয়োগ পেলেও ৯৪ বা ৯৬ জনের মতো প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
প্রশিক্ষণ শেষে নিয়োগ পাওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থী নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, পুলিশের চাকরিতে প্রচুর কাজ করতে হয়।
‘এটা চ্যালেঞ্জিং পেশা। তবে কোনো পেশাই কষ্ট ছাড়া সুখ নেই। এ পেশাটা কখনও কখনও উপভোগ্য হয়ে ওঠে।’
২০২০ সালের ১৪ জুন থেকে রাজশাহীর সারদা পুলিশ অ্যাকাডেমিতে বহিরাগত ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টরদের (এসআই) প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এতে অংশ নেন ১ হাজার ২৩১ জন। ২০২১ সালের ১৪ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে বছরব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটে সদ্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টরদের পোস্টিং দেয়া হয়। এদের মধ্যে প্রায় এক হাজারজনকে জেলা পুলিশ, বাকিদের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট, সিআইডিসহ অন্যান্য জায়গায় পোস্টিং দেয়া হয়।
এদের মধ্যে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট ঢাকা অব বাংলাদেশ পুলিশের জন্য মনোনীত হয়েছেন জগন্নাথের নবম ব্যাচের মো. মামুন মিয়া। এ পদে সারা বাংলাদেশ থেকে ১২ জনের একজন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন তিনি।
বললেন, সবার দোয়ায় সেই বহু কাঙ্ক্ষিত প্রথম চয়েজটা পেয়ে গেলাম। আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
প্রশিক্ষণ শেষে সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ পাওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শামীম রেজা বলেন, পুলিশের চাকরি খুবই চ্যালেঞ্জিং। প্রচুর কাজ করতে হয়। তবে পেশাটা উপভোগ্য। প্রশিক্ষণে অনেক কৌশল ও দেশের শান্তি, শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা রক্ষার নানান বিষয় জানতে পেরেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ থেকে প্রায় সমানসংখ্যক শিক্ষার্থী রয়েছেন।
এর আগে পুলিশের ৩৭তম ক্যাডেটে এসআই ১ হাজার ৭৫৯ জনের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪৮ জন সাবেক শিক্ষার্থী এবং ৩৬তম এসআই পদে ১১১ জন শিক্ষার্থী নিয়োগ পেয়েছিলেন।