বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টাইম স্কেল ধরে রাখতে ৪৮ হাজার শিক্ষকের আপিল

  •    
  • ১৪ জুন, ২০২১ ২০:০১

মোকছেদুল জানান, শিক্ষকদের টাইম স্কেল ফেরত নিতে অর্থ মন্ত্রণালয় যে পরিপত্র জারি করে, সেটি একটি বড় অন্যায়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে অর্থ বরাদ্দ করা। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেটি কোন খাতে ব্যয় করছে সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।

জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ হাজার ৭২০ শিক্ষকের টাইম স্কেল ফেরত নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের বৈধতা প্রশ্নে রিট খারিজ করে হাইকোর্ট। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন শিক্ষকেরা।

আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় সোমবার আপিল করা হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন আবেদনকারী শিক্ষকদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘টাইম স্কেল ফেরত নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্ট রুলটি খারিজ করে দেয়। আমরা ওই খারিজাদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেছি।’

মোকছেদুল জানান, শিক্ষকদের টাইম স্কেল ফেরত নিতে অর্থ মন্ত্রণালয় যে পরিপত্র জারি করে, সেটি একটি বড় অন্যায়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে অর্থ বরাদ্দ করা। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেটি কোন খাতে ব্যয় করছে সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।

‘কিন্তু দেখা যায়, সেখানেও অর্থ মন্ত্রণালয় নাগ গলায়। এমন কোনো বিধান নেই। বরং আইনে বলা আছে, বরাদ্দকৃত অর্থ কোন খাতে ব্যয় করবে সেটি প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমরা আপিল দায়ের করেছি, আশা করি সেখান থেকে আমাদের পক্ষে রায় পাব।’

সারা দেশে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ হাজার ৭২০ শিক্ষকের টাইম স্কেল ফেরত দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র নিয়ে জারি করা রুলটি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি খারিজ করে রায় দেয় হাইকোর্ট। রায়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে রিটকারীরা চাইলে মামলা করতে পারবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

আদালতে ওই দিন রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে প্রাথমিক শিক্ষক সমাবেশে দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত এক লাখ ৪ হাজার ৭৭২ জন শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে রাষ্ট্রপতির আদেশে পরিপত্র ও গেজেট প্রকাশ করা হয়।

সেই পরিপত্র ও গেজেটের পর জাতীয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা সরকারের আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে আসছিলেন। কিন্তু গত বছর ১২ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইম স্কেল ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সংক্ষুব্ধ শিক্ষকরা হাইকোর্টে রিট করেন।

রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট পরিপত্র স্থগিত করে রুল জারি করে। রুলে শিক্ষকের টাইম স্কেল ফেরত দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ তখন আপিল করে। ওই আপিল গ্রহণ করে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়। পরে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ শুনানি শেষে দ্রুত হাইকোর্টের রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় হাইকোর্ট শুনানি শেষ করে রুলটি খারিজ করে দেয়।

এ বিভাগের আরো খবর