ছাত্রলীগের বাধার মুখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে নতুন উপাধ্যক্ষ মো. ইব্রাহিম যোগদান করতে পারেননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার সকালে নরসিংদী সরকারি কলেজে ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইব্রাহিম নতুন কর্মস্থলে যোগদানে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেছেন।
৭ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে নরসিংদী সরকারি কলেজ থেকে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে উপাধ্যক্ষ হিসেবে বদলি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সকাল ১০টা ১০মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে পৌঁছেন মো. ইব্রাহিম। তিনি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ এস এম শফিকুল্লাহর কক্ষে প্রবেশ করেন। সেখানে ছাত্রলীগের ব্যানারে ২০ থেকে ২২ জন সাধারণ ছাত্রী আগে থেকেই অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন কয়েকজন নেতাকে নিয়ে অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করেন। তারা উপাধ্যক্ষ পদে ইব্রাহিমের যোগদানে আপত্তি তুলে বাধা দেন। এক পর্যায়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনও ঘটনাস্থলে পৌঁছেন।
উপাধ্যক্ষ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাতে লেখা যোগদানের দরখাস্ত অধ্যক্ষের কাছে জমা দিয়ে কলেজ ত্যাগ করেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, ছাত্রলীগ নেতারা সাধারণ ছাত্রীদের নিয়ে মো. ইব্রাহিমকে যোগদানে নিষেধ করেন। তিনি যোগদান করলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিবেশ নষ্ট হবে বলেও জানান তারা।
মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘স্থানীয় ছাত্রলীগ যোগদানে আপত্তি তুলে বাধা দিয়েছে। আমি দরখাস্ত জমা দিয়ে এসেছি। তবে আমার যোগদান প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী এনি আক্তার, মহিমা আক্তার ও আমেনা আক্তার বলেন, ‘আমাদের আপত্তি আছে, আমরা ওনাকে চাই না। তিনি নিয়ম কানুন ভঙ্গ করেছেন।’
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন বলেন, ‘নতুন শিক্ষকের যোগদানের বিষয়ে সাধারণ ছাত্রীদের অভিযোগ বা আপত্তি রয়েছে। তবে ছাত্রলীগ উপাধ্যক্ষের যোগদানে কোনো বাধা প্রদান করেনি। এটি ছাত্রীদের বিষয়।’
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ এস এম শফিকুল্লাহ বলেন, ‘নতুন উপাধ্যক্ষ যোগদানের দরখাস্ত জমা দিয়েছেন। তার যোগদানের বিষয়ে আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।’