বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের দুই অংশ খুলে না দেয়ায় নিরাপত্তাকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত মনোয়ার হোসেন হিমেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগকর্মী।
শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমবাগানসংলগ্ন ফটকে হিমেল নিরাপত্তাকর্মী ফয়সাল কবিরকে মারধর করেন বলে রেজিস্ট্রারকে লিখিতভাবে জানান হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা নিউজবাংলাকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আমবাগান গেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন হিমেল। এ সময় ফটকের দুটো অংশ খুলে দিতে নিরাপত্তাকর্মীকে নির্দেশ দিলে গেটের দুই অংশ খোলা যাবে না বলে জানান ফয়সাল কবির। তখন গেট খুলতে বাধ্য করতে নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর শুরু করেন হিমেল। পরে গেট খুলে দেয়া হলেও লোকজন নিয়ে নিরাপত্তাকর্মী ফয়সালকে আবারও মারধর করতে আসেন তিনি। এ সময় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও একাধিক শিক্ষকের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধান করে দেয়া হয়।
মারধরের শিকার নিরাপত্তাকর্মী ফয়সাল বলেন, ‘গেটের দুই অংশ খুলে দিতে বলার পর আমি তাকে একটি অংশ খোলা যাবে বলে জানাই। কিন্তু হঠাৎ তিনি গালাগালি দিয়ে মারধর শুরু করেন। আমি সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। এ ছাড়া রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হিমেল বলেন, ‘আমি ক্যাম্পাসে ঢুকতে চেয়েছিলাম, তখন গেটের একটি অংশ খোলা ছিল। গার্ডকে গেটের দুই অংশ খুলে দিতে বলেছিলাম। কিন্তু সে খোলেনি, এতে আমার মাথা গরম হয়ে যায়। তখন গার্ডকে থাপ্পড় দিয়ে ফেলি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার অভিভাবক ছাত্রলীগের মুরাদ ভাই, সবুজ ভাই, সৈকত ভাই এসে সমাধান করে দেন।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) জেফরুল হাসান চৌধুরী সজল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমবাগানের গেটটা বন্ধ রাখার নির্দেশ আছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে। ওই শিক্ষার্থী এসে গেটের পুরো অংশ খুলে দিতে বললে গার্ড একটা অংশ খুলে দিলে হঠাৎ করেই সে গার্ডের ওপর চড়াও হয়, মারধর করে। আমরা রেজিস্ট্রার, প্রক্টরকে জানিয়েছি। তার যথাযথ শাস্তি দাবি করছি।’