আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশিদকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মো. রফিক হাছনাইন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমানের পক্ষে রোববার দুপুরে ডাকযোগে নোটিশ পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রফিক হাছনাইন জানান, আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী গত বছরের ১৩ মার্চ ট্রেজারার ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর বিরুদ্ধে ৭৯০ পৃষ্ঠার ১১১টি অভিযোগ এনে দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করে।
‘আপনি ট্রেজারার হিসেবে যোগদানের পর থেকে সাবেক উপাচার্যের দুর্নীতি ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের অনুমোদন দিয়ে যাচ্ছেন। এতে আপনি নিয়োগের শর্ত লঙ্ঘন করে চলেছেন।’
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘আপনি বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন এবং ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে অবৈধভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। যা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আইন ২০০৯ এর পরিপন্থি। এই আইনের ধারা ১৩ অনুযায়ী ট্রেজারার পদটি শুধু অর্থ সংশ্লিষ্ট। ট্রেজারার হিসেবে আপনার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক শৃঙ্খলা রক্ষা করা।
‘মিথ্যা, ভুয়া ও জাল ভাউচারে অবৈধ বিল তৈরি করে নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন এবং অন্যদেরকেও লাভবান হতে সাহায্য করেছেন। যা রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত দায়িত্বকে অবহেলা করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’
অ্যাডভোকেট হাছনাইন জানান, নোটিশটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, সচিব, উপউপাচার্য, সব সিন্ডিকেট সদস্যসহ ১৬ জনকে পাঠানো হয়েছে।
অধ্যাপক হাসিবুর রশিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যানেজম্যান্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষক। তিনি ২০২০ সালের মার্চে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার পদে নিয়োগ পান।
আইনি নোটিশের বিষয়ে অধ্যাপক হাসিবুর জানান, তিনি এখনও নোটিশ পাননি।