হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক জানিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনের আম চত্বরে রোববার বেলা ১২ টায় সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, হল বন্ধ রেখে কোনো ধরনের রূপরেখা ছাড়াই পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। তাই হল খুলেই পরীক্ষা নিতে হবে।
দাবি মেনে না নিলে আগামী ১৭ তারিখ থেকে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দেন তারা।
গত ৩ জুন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হল বন্ধ রেখে স্বশরীরে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে হঠকারী সিদ্ধান্ত বলে প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাব্বত হোসেন মিলন বলেন, 'শীঘ্রই হল খুলে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরীক্ষা নেয়ার যে ঘোষণা দিয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে তার রূপরেখা শিক্ষার্থীদের সামনে হাজির করার দাবি করছি। হল না খুলে পরীক্ষা নেয়ার অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে অবিলম্বে হল ও ক্যাম্পাস খুলে স্থগিত পরীক্ষাসহ অন্যান্য সব পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ক্লাস নিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'আগামী ১০ দিনের মধ্যে হল খুলে ক্লাস-পরীক্ষার বিষয়ে আমাদের সামনে একটি পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা হাজির করতে হবে। নইলে আগামী ১৭ তারিখ থেকে আমরা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।'
মিলন জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবি উপেক্ষা করে গত ৩ জুন নিজেদের মতো করে আমাদের আন্দোলনকে দমানোর জন্য কোনো রকম পরিকল্পনা ছাড়াই হল বন্ধ রেখে স্থগিত পরীক্ষা এবং ২০২০ সালের পরীক্ষা নেয়ার তারিখ ঘোষণা করেছে। তারা পরীক্ষার তারিখ দিলেও কোন প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা হবে তার কোনো রূপরেখা দেননি।
তাদের সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ফেলেছে। মাস কয়েক আগেও তাদের এমন সিদ্ধান্তের কারণে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছিল।
এদিকে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আজিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত ৩ জুন ক্লাস-পরীক্ষার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সেটি বহাল রয়েছে। গত মিটিং এ হল খোলার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে হলে আলোচনায় বসতে হবে। আপাতত এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।’
হল ও ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ‘এটি একটি জাতীয় ইস্যু। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হল খোলার বিষয়ে একক কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। তবে পরীক্ষার বিষয়ে বিভাগগুলোর অ্যাকাডেমিক কমিটি সিদ্ধান্ত নেবেন।’