প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আয়কর আরোপ আইন পরিপন্থি এবং তা গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি)।
শুক্রবার এপিইউবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে আয়কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা দেশের উচ্চশিক্ষা প্রসারের অন্যতম অংশীদার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব মহল এবং শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি করেছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ অনুযায়ী ট্রাষ্টের অধীনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত। ট্রাস্ট আইন ১৮৮২ অনুযায়ী ট্রাষ্টের অধীনে পরিচালিত হওয়ায় অলাভজনক প্রতিষ্ঠান করের আওতায় পড়ে না।’
‘কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর আওতায় লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত মেডিক্যাল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সঙ্গে ট্রাস্ট আইনে অলাভজনক হিসেবে পরিচালিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর একইভাবে আয়কর আরোপের প্রস্তাবনা আইনের পরিপন্থি এবং কোনভাবেই তা গ্রহণযোগ্য নয়।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বর্তমান করোনা দুর্যোগকালীন সময়ে অর্থসঙ্কটে পড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অস্তিত্ব রক্ষার জন্যে লড়াই করছে। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, ক্যাম্পাসের ভাড়া দেয়া অনেক ক্ষেত্রেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একমাত্র আয়ের উৎস হিসেবে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফিস এখন নিয়মিত পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া এইচএসসি পরীক্ষা সময়মত না হওয়ায় শিক্ষার্থী সংকটও দেখা দিয়েছে। চলমান শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও টিউশন ফিসের উপর ছাড় দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে।’
‘এমন সংকটকালীন সময় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কর আরোপ করা হলে অনুমোদিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।’
এসব কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কর আরোপ না করে তাদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে প্রণোদনা দেয়ার মাধ্যমে সরকার সহায়তার হাত প্রসারিত করবেন বলে আশা করেন তারা।