বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর কর আরোপ করা হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে বলে মনে করে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি)।
বৃহস্পতিবার প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সমিতির সেক্রেটারি জেনারেল বেনজীর আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রুগ্ণ হবে এবং ভবিষ্যতে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হয় ট্রাস্ট অ্যাক্ট দ্বারা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে। আমরা দেশের উচ্চশিক্ষার সহায়ক হিসেবে কাজ করি। ছাত্রছাত্রীদের টিউশনির ওপরই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলে। আর উদ্বৃত্ত ফান্ড থাকলে সেটা উন্নয়নকাজে ব্যয় হয়। ট্রাস্টিরা এখান থেকে কোনো লভ্যাংশ নেন না। কোনো কর আরোপ করা হলে এটা আলটিমেটলি শিক্ষার্থীদের ওপরই বর্তাবে অথবা উন্নয়নকাজ ব্যাহত হবে।
‘করোনার দুর্যোগ, এসএসসি পরীক্ষা না হওয়া, রেয়াতি হারে টিউশনি নেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুবই জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই অতীতেও একবার কর আরোপের চেষ্টা করা হয়েছিল, যা প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে রহিত করা হয়েছিল। এ ধরনের কর আরোপ না করার জন্য আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই।’
প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। ১০ বছর আগে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সময়ে এই কর আরোপের প্রস্তাব করা হলেও মামলা ও মালিকপক্ষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ কর আদায় সম্ভব হয়নি।
সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘সাধারণ করহার হ্রাস করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ, বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ, বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বা কেবল তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষাদানে নিয়োজিত বেসরকারি কলেজ থেকে উদ্ভুত আয়ের ১৫ শতাংশ হারে কর নির্ধারণ করা হয়েছিল। মহান এ সংসদে আমি এ করহার অর্থ আইনের মাধ্যমে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।’