দেশের সবকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এডহক ও মাস্টার রোলে নিয়োগ বন্ধ চায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইউজিসির নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
বুধবার স্ট্রাটেজিক প্ল্যান ফর হায়ার এডুকেশন ইন বাংলাদেশ: ২০১৮—২০৩০ বাস্তবায়ন মনিটরিং করার লক্ষ্যে ইউজিসি পর্যায়ে গঠিত কমিটির দ্বিতীয় ভাচুর্য়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় এডহক ও মাস্টার রোলে নিয়োগ বিষয়ে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর দিল আফরোজা বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এডহক ও মাস্টার রোলে নিয়োগ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। যদি কেউ ইউজিসির নির্দেশনা অমান্য করে নিয়োগ দেয় সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নিয়োগে ফান্ড বন্ধ করে দেয়া হবে।
ইউজিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপাচার্যদের কেউ কেউ ইউজিসির নির্দেশনা উপেক্ষা করে সম্পুর্ণ নিজস্ব এখতিয়ারে এডহক ও মাস্টার রোলে জনবল নিয়োগ করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিতর্কের মুখে ফেলছেন।
সভায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য এবং সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলেন, অস্বচ্ছ ও অনৈতিক নিয়োগ এবং আর্থিক বিধিমালা লংঘিত হওয়ার ফলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। এডহক ও মাস্টার রোলে নিয়োগের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপাচার্যরা বিতর্কিত হচ্ছেন।
সভায় একটি ফ্লাগশিপ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, শিক্ষকদের জন্য প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বৃত্তি চালু, বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়ন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিখন –শিক্ষণ কেন্দ্রকে আইকিউএসির অন্তভূর্ক্ত করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরসহ ইউজিসির সাবেক সদস্য, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ইউজিসির সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান ও কর্মকতার্গণ সংযুক্ত ছিলেন।
সভায় কমিশনের এসপিকিউএ বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য দেন।