আবাসিক হল বন্ধ রেখে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ। তিনি বলেন, হল না খুলে পরীক্ষা নেয়া হলে অনেক ছেলে-মেয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে না। তারা পিছিয়ে পড়বে। এটি গ্রহণযোগ্য হবে না।
করোনার কারণে স্থগিত পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদের (অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল) নেয়া সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে নিউজবাংলাকে এ সব কথা বলেন তিনি।
আবাসিক হল বন্ধ রেখে ১ জুলাই থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষা সশরীরে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হলে একই তারিখ থেকে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার কথাও বলা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সামাদ বলেন, ‘হল না খুলে পরীক্ষা নেয়া হলে অধিকসংখ্যক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হবে। অধিক শিক্ষার্থীকে বঞ্চিত করে অনুল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নিশ্চিত করার পক্ষে আমি নই। নাগরিক সমাজের কাছেও এটি গ্রহণযোগ্য হবে না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ
অনলাইন পরীক্ষারও সমালোচনা করেন মুহাম্মদ সামাদ। বলেন, ‘অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার মতো সামর্থ্য কোনো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। মোবাইলে অনলাইন পরীক্ষা দেয়া এবং গুগল ক্লাস রুম বোঝা শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব না। এগুলোর জন্য কম্পিউটার দরকার। আমিও গরিব ঘরের ছেলে। আমার মতো অনেক শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। তাদের এই মুহূর্তে ডাটা বা কম্পিউটার কেনার সামর্থ্য নেই। তাদের মা-বাবা এই সাপোর্ট দিতে পারবে না।’
উপ উপাচার্য সামাদের মতে, অনলাইন পরীক্ষা প্রতারণার শামিল। অনেক বয়স্ক শিক্ষকের প্রযুক্তি জ্ঞানও খুব বেশি নেই। তাদের অনেকেই এসব কার্যক্রম বুঝবে না। এগুলোর জন্য শিক্ষকদেরও অরিয়েন্টেশন দরকার। এটি দীর্ঘ মেয়াদে করতে হবে৷
শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় এনে হল খোলার পরই পরীক্ষা নেয়া উচিত উল্লেখ করে সামাদ বলেন, ‘টিকার আওতায় এনে হল খুলতে প্রধানমন্ত্রীর যে সিদ্ধান্ত সেটিকে আমি স্বাগত জানাই। শিক্ষার্থীদের দুই ডোজ টিকার আওতায় এনে হল খুলে তারপর পরীক্ষা নেয়া উচিত। সকল শিক্ষার্থীর জন্য এটিই মঙ্গল হবে।’