দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে প্রায় ১৫ মাস বন্ধ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের বিবৃতির পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বন্ধের পর ইন্টারনেট, ডিভাইস সমস্যা নিয়েই অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগে ঠিকমতো ক্লাস হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
দীর্ঘ সেশন জটের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের তাই এক দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় সচল করে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হোক।
এ বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী নিজেদের ফেসবুক ওয়ালের পাশাপাশি ‘আমরাই জাহাঙ্গীরনগর’ ও ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হল খোলা আন্দোলন’ নামে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট ফেসবুক গ্রুপে নিজেদের হতাশা আর ক্ষোভের কথা জানিয়ে প্রতিনিয়ত পোস্ট করছেন। শিক্ষার্থীদের দাবিতে সমর্থন দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোও।
এ বিষয়ে জাবি ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম ফেসবুকে লেখেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিটি যৌক্তিক। দিনে দিনে এই দাবিটা বড় দাবি হয়ে উঠবে। এ নিয়ে আন্দোলন হবে। রাজনীতি হবে। কোথাকার জল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়; অতীতে বহুবার দেখেছি।
‘আমি মনে করি, সরকার এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের উচিত সুচিন্তিত ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনায় কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যায় তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া।’
জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সোহানুর রশিদ মুন বলেন, ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অংশীজনকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যালের অধীনে অবিলম্বে টিকার আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করে ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার দাবি জানাই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় এনে ক্যাম্পাস সচল করার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ছাত্র ইউনিয়নের জাবি শাখা। জাবির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি বলেন, ‘দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস তো শুনলাম। অগ্রগতি না দেখলে দ্রুতই কর্মসূচিতে যাব আমরা।’
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামও। সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের আর্থিক সংকট এবং ইন্টারনেটের অপ্রাপ্যতাসহ নানা সমস্যার কারণে তারা মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল ও পাঠাগার দ্রুত চালু করা প্রয়োজন।