ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পঞ্চম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাউশি।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কিছুটা নিয়ন্ত্রণের দিকে আসার মধ্যে যখন স্কুল-কলেজ খোলার জন্য প্রস্তুতির নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তখন রোববার মাউশির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার এই সময়ে শিক্ষার্থীরা যেন বাসায় বসে শিক্ষা কার্যকমে সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে এ জন্য অ্যাসাইনমেন্ট দেযা হচ্ছে।’
করোনার প্রাদুর্ভাব হওয়ার পর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এক বছরেরও বেশি সময় পর মে মাসের শেষ দিকে খোলার কথা ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
তবে মার্চের শেষে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাত সব পরিকল্পনা ভণ্ডুল করে দেয়। সরকার জানিয়েছে ১৩ জুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশ নামলেই কেবল খুলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে হিসাব দিয়েছে, তাতে গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৯.৮১ শতাংশ। আগের দিন তা ১০ শতাংশের বেশি ছিল।
এর মধ্যে আবার ভারত সীমান্তবর্তী বেশ কিছু জেলায় সংক্রমণের উচ্চ হার দেখা গেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ উত্তর ও পশ্চিমের আটটি জেলা অবরুদ্ধের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এই অবস্থায় অনলাইনের মাধ্যমে যে শিক্ষণ প্রক্রিয়া সেটি চালিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি পুর্নবিন্যাস করে শিক্ষার্থীদের শিখন প্রক্রিয়া অব্যহত রাখা হচ্ছে।’
গত বছরের মতো এ বছরও ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট ও নির্ধারিত কাজের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। গত ২০ মার্চ থেকে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরু হয়। ইতোমধ্যে চার সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীদের বিতরণ করা হয়েছে।