বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সশরীরে ও অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন- ইউজিসি। পরীক্ষা নিতে ব্যবস্থার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠি দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজের রেজিস্ট্রারদের কাছে পাঠিয়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘দেশের বিরাজমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা জরুরি। এ বিষয়ে ইউজিসি ইতোপূর্বে পাঠানো সরাসরি (ইনপারসন) ও অনলাইন পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদনক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষা সরাসরি ও অনলাইনে গ্রহণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।’
ফেরদৌস জামান বলেন, ‘সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অনলাইনে ও সরাসরি পরীক্ষা নিতে পারবে।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইউজিসিকে ধন্যবাদ। আমরাই তাদেরকে বিষয়টি জানিয়েছি। এখন বিভাগগুলো শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার নতুন তারিখ নির্ধারণ করবে। সেটি না হলে আগামী এক জুলাই থেকে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ততো আছেই।’
গত বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের টিকার দুটি ডোজ সব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের দেয়া সম্পন্ন হলেই আবাসিক হলযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আবাসিক শিক্ষার্থীদের করোনা টিকার আওতায় আনার পর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে কতজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী টিকা পেয়েছে সে তথ্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাছে চেয়েছি। তবে যাদের বয়স ৪০ এর বেশি, বেশিরভাগই টিকা নিয়েছেন বলে আমরা তথ্য পেয়েছি।
‘শিক্ষার্থীদের যাদের বয়স যাদের ৪০ এর কম তাদের বিশেষ বিচেবচনায় টিকা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন। নতুন টিকা এলেই তারা অগ্রাধিকার পাবে। এ ক্ষেত্রে আবাসিক শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন। এ সংখ্যাটা যেহেতু বিশাল নয়, তাই দ্রুত তাদের টিকার আওতায় নিয়ে আসতে পারব বলে আশা করছি।’
দেশে করোনা শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। বন্ধ দফায় দফায় বাড়িয়ে আগামী ১২ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।