বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্কুল-কলেজ খুলতে প্রস্তুতির নির্দেশ

  •    
  • ২৭ মে, ২০২১ ২১:০৫

একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন এই নির্দেশনার মানে এই নয় যে, স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার যদি কোনো তারিখ জানায়, তাহলে যেন প্রস্তুতি থাকে, সে জন্যই এই নির্দেশনা। গত বছরও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রতি এ ধরনের নির্দেশনা জারি হয়েছিল। কিন্তু পরে পরিস্থিতির বিবেচনায় স্কুল না খুলে ছুটি আরও বাড়ানোর ঘোষণা এসেছিল।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে আগামী ১৩ জুন থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দেয়া এবং শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার লক্ষ্যে আগের বন্ধের ধারাবাহিকতায় আগামী ১২ জুন পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এ সময়ে নিজেদের এবং অন্যদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করবে এবং টেলিভিশন ও অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকবে।

এতে আরও বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ থাকার সময় শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয় অভিভাবকরা নিশ্চিত করবেন এবং স্থানীয় প্রশাসন তা নিবিড়ভাবে দেখভাল করবে।

নির্দেশনা মানে স্কুল খোলার উদ্যোগ নয়

অবশ্য একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই নির্দেশনার মানে এই নয় যে স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার যদি কোনো তারিখ জানায়, তাহলে যেন প্রস্তুতি থাকে, সে জন্যই এই নির্দেশনা।

গত বছরও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রতি এ ধরনের নির্দেশনা জারি হয়েছিল। কিন্তু পরে পরিস্থিতির বিবেচনায় স্কুল না খুলে ছুটি আরও বাড়ানোর ঘোষণা এসেছিল।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নেহাল আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রস্তুত বলতে আমরা বুঝেছি, ক্লাসগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রস্তুত করা। যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে তারা নিরাপদে ক্লাসে অংশ নিতে পারে।’

স্কুল বন্ধ গত বছরের মার্চ থেকে

দেশে করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ক্লাস চলতে থাকে অনলাইনে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভি ও সংসদ টিভিতে নেয়া হয় ক্লাস।

তবে শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশই শিক্ষণের এই প্রক্রিয়া থেকে দূরে রয়েছে বলে নানা জরিপে উঠে এসেছে। বিশেষ করে গ্রাম এলাকায় ও নিম্ন আয়ের মানুষদের সন্তানরা আদৌ পড়ালেখার মধ্যে আছে কি না, এ নিয়ে আছে প্রশ্ন।

ধাপে ধাপে বন্ধের মেয়াদ বাড়ানোর পর ২৩ মে স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা ছিল। তবে মার্চের শেষে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাত সব উলট-পালট করে দেয়। ৫ এপ্রিল থেকে ঘোষণা করা হয় লকডাউন। সেটিও বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত করা আছে।

আর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সবশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১৩ মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে একটি ঘোষণা আসতে পারে। যদিও এই বক্তব্যের মানে এই নয় যে ১৩ জুন থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে যাচ্ছে।

সংক্রমণ কমলেও ভারত সীমান্ত এলাকা নিয়ে উদ্বেগ

ঈদের আগে থেকে দেশে করোনার সংক্রমণ কমার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। তবে ভারতের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণের উচ্চহার নিয়ে আছে শঙ্কা। আর সামনে লকডাউন উঠে গেলে জেলাভিত্তিক লকডাউন দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এ বিভাগের আরো খবর