বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা শেষেও বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস

  •    
  • ২৭ মে, ২০২১ ২০:৫৫

‘যুগের চাহিদা ও কোভিড -১৯-এর কারণে অনলাইন শিক্ষা এখন সময়ের বাস্তবতা। দেশে বর্তমানে অনলাইন শিক্ষা পরিচালনার প্রাতিষ্ঠানিক কোনো অনুমোদন নেই। ব্লেন্ডেড লার্নিং ও অনলাইন লার্নিং নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন।’

করোনা সংকট দূর হওয়ার পরও সশরীরের পাশাপাশি অনলাইনে ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে একটি নীতিমালা করার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। একে তারা বলছে ‘ব্লেন্ডেড লার্নিং’ নীতিমালা।

অনলাইন ও অনসাইট এডুকেশন পদ্ধতিকে একত্রিত করে উচ্চশিক্ষায় যুগোপযোগী শিক্ষণ পদ্ধতির নীতিমালা প্রণয়নসংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

বৃহস্পতিবার ইউজিসির বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

সভার সভাপতি বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ও নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ফর হায়ার এডুকেশন ইন বাংলাদেশ ২০১৮-২০৩০ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে অনলাইন ও অনসাইট এডুকেশন পদ্ধতিকে একত্রিত করে উন্নত দেশের আদলে ব্লেন্ডেড লার্নিং নীতিমালা তৈরি করা হবে।’

এর উদ্দেশ্য কী, তার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘কোভিড-পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ যেন কোনো প্রোগাম বা কোর্স একই সঙ্গে অনলাইন এবং অনসাইট শিক্ষণ পদ্ধতিতে চালিয়ে যেতে পারে এটাই আমাদের লক্ষ্য। এ নীতিমালা প্রণয়নে নিজস্ব সংস্কৃতি, সক্ষমতা, আর্থসামাজিক অবস্থা ও আন্তর্জাতিক মানের দিকে নজর দেয়া হবে।’

সভায় অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম স্বাভাবিক সময়ে সশরীরে পাঠদানের পাশাপাশি যাতে ভার্চুয়াল পাঠদান চালু থাকে, এই নীতিমালায় সেদিকে খেয়াল রাখার ওপর তাগিদ দেন।

ইউজিসির সদস্য সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘যুগের চাহিদা ও কোভিড-১৯-এর কারণে অনলাইন শিক্ষা এখন সময়ের বাস্তবতা। দেশে বর্তমানে অনলাইন শিক্ষা পরিচালনার প্রাতিষ্ঠানিক কোনো অনুমোদন নেই। ব্লেন্ডেড লার্নিং ও অনলাইন লার্নিং নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন।’

অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্লেন্ডেড লার্নিং এডুকেশন প্রবর্তন করা এখন সময়ের দাবি।’

সভায় ব্লেন্ডেড লার্নিং নীতিমালা তৈরির ক্ষেত্রে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির অধ্যাপক কাজী মোহাইমিন আস-সাকিব, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আ ফ ম সাইফুল আমিন, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগের অধ্যাপক মোজ্জাম্মেল হক আজাদ খান, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সাদেকুল ইসলাম।

সভাটি সঞ্চালনা করেন কমিশনের স্ট্রাটেজিক প্ল্যানিং অ্যান্ড কোয়ালিটি এসিউরেন্স বিভাগের পরিচালক ফখরুল ইসলাম।

এ বিভাগের আরো খবর