বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাবি ক্যাম্পাস, হল খোলার দাবিতে মানববন্ধন

  •    
  • ২৫ মে, ২০২১ ১৯:০৯

সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমা তাসনীম বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানার কর্মীরা অফিস করছেন। কিন্তু করোনার কারণে আমাদের কেউ মারা যাননি। তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে শিক্ষার্থীরা মারা যাবে, এ কথাটি আসল কীভাবে?। শিক্ষার্থীরা সাধারণ জনগণ ও অন্য পেশাজীবীদের থেকে আরও বেশি সচেতন। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসে ফিরতে চাই।’

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ঢাবির একদল শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে’ এ কর্মসূচি পালন করা হয়। আবাসিক হল খোলা থাকলে সদ্য মারা যাওয়া শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানকে লাশ হতে হতো না বলেও মন্তব্য করেন শিক্ষার্থীরা ।

এ সময় তারা হাফিজুরের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন এবং দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান । এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা আরও দুটি দাবি জানান। দাবি দুটি হলো, করোনার ইস্যুতে ২৯ মের পর আর ছুটি না বাড়ানো এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুরো ক্যাম্পাস সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা।

মানববন্ধনে বক্তারা সেশনজটের ভয়াবহতা, মানসিক অশান্তি, হতাশা ও অর্থনৈতিক সংকটের নানা দিক তুলে ধরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খুলে দেয়ার দাবি জানান।

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী হৃদয় আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের হল না খোলার কারণে আমাদের অনেকের মানসিক সমস্যা শুরু হয়েছে। আমার প্রতিদিনই মনে হয় আমি কোনো মানসিক হাসাপাতালে আছি। কারণ আমার প্রতিটি সময়ই যন্ত্রণার মধ্যে কাটে। আমি ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ২০২০ সালে আমার সেশন শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার কারণে সেটিও আর সম্ভব হয়নি।

‘আমরা প্রশাসনের কাছে করজোড়ে আহবান জানাই, অতি দ্রুত ক্যাম্পাস খুলে দিয়ে আমাদের সুস্থ পরিবেশে ফিরে আসার সুযোগ করে দেবেন।’

সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমা তাসনীম বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানার কর্মীরা অফিস করছেন। কিন্তু করোনার কারণে আমাদের কেউ মারা যাননি। তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে শিক্ষার্থীরা মারা যাবে, এ কথাটি আসল কীভাবে?। শিক্ষার্থীরা সাধারণ জনগণ ও অন্য পেশাজীবীদের থেকে আরও বেশি সচেতন। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসে ফিরতে চাই।’

ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল খুলে দেয়ার দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন করেছেন ঢাবির শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা

শিক্ষামন্ত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা দাবি জানাচ্ছি, অনতিবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন। যদি খুলে না দেন তাহলে হাফিজুর রহমানের মতো যত শিক্ষার্থী মারা যাবে, যত শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হবে, ধর্ষণের শিকার হবে সব কিছুর দায় এই প্রশাসন এড়াতে পারবে না।

এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরাই আগামীর বাংলাদেশ। আমাদের যদি হতাশায় ভুগিয়ে, মানসিক চাপে ফেলে, আর্থিক সংকটে রেখে আপনারা যদি উল্লাস করেন তাহলে এই বাংলাদেশ একদিন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়াবে।’

প্রধানমন্ত্রীকে শিক্ষার্থীদের প্রতি নজর দেয়ার আহবান জানিয়ে এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পাবজিসহ বিভিন্ন ভিডিও গেমসে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে, পিতামাতার অবাধ্য হচ্ছে। যেসব শিক্ষার্থী ডিসিপ্লিন জীবন যাপন করত, সেখান থেকে তারা পিছিয়ে যাচ্ছে। আগামীর ভবিষ্যৎকে কেন আপনারা অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। অনতিবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিল শেষে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হন। সেখানে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক আসিফ মাহমুদ বলেন, আগামীকাল বুধবার শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। সেই ব্রিফিংয়ে আমরা নজর রাখব। ব্রিফিং থেকে হল খোলার ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো বার্তা না আসলে তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানান এই শিক্ষার্থী।

এ বিভাগের আরো খবর