প্রথমবারের মতো ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ সুনামগঞ্জে।
সোমবার ২৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে মেডিক্যাল কলেজের যাত্রা শুরু হয়। ভর্তি কার্যক্রম চলবে ৭ জুন পর্যন্ত।
২০২০-২১ সেশনে ৫০টি আসনে ভর্তির অনুমোদন দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মদনপুর মোড়ে ৯ তলা মেডিক্যাল কলেজের নির্মাণকাজ চলছে। কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত পাশেই নবনির্মিত দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলবে পাঠদান।
বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ সুনামগঞ্জের অধ্যক্ষ মনোজিত মজুমদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মেডিক্যাল কলেজ হিসেবে অনুমোদন লাভের পর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বারের মতো ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রথম দিনেই ২৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। এখন মেডিক্যাল কলেজের নিজস্ব ভবন না থাকলেও হাসপাতাল ক্যাম্পাস হিসেবে পাওয়ায় পাঠদানসহ প্রশাসনিক ও ল্যাবের কাজ চালাতে কোনো সমস্যা হবেনা।’
এ ছাড়া শিক্ষা ব্যবস্থায় পিছিয়ে পড়া জনপদের মধ্যে সুনামগঞ্জ অন্যতম হলেও প্রথমবারের মতো মেডিক্যাল কলেজের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় উচ্ছ্বসিত হাওরের মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে ধন্যবাদ জানিয়ে শিক্ষাবিদ পরিমল কান্তি দে বলেন, ‘জেলার শিক্ষা অঙ্গনের বিরাট পরিবর্তন হয়েছে মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে। এ এলাকায় মেডিক্যাল কলেজ হবে কোনদিন ভাবিনি। কিন্তু বর্তমান সরকার তা করে দেখিয়েছে।’
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ২০২০ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ সুনামগঞ্জসহ ১৭টি মেডিক্যাল কলেজে ২৮২টি আসন বরাদ্দ দেয়। এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ৪৭টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের তালিকায় বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ সুনামগঞ্জের নাম ছিল সবশেষে। ভর্তি পরীক্ষা শেষে অন্যান্য কলেজের মতো সুনামগঞ্জেও ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মদনপুর মোড়ে ৩৫ একর জমিতে মেডিক্যাল কলেজ ও ৫০০ শয্যার হাসপাতালসহ ১ হাজার ১০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণকাজ চলছে।
হাসপাতাল ভবন, মেডিক্যাল কলেজ ভবন, অডিটোরিয়াম, ছাত্রাবাস, ডক্টরস ডরমেটরি, ডক্টরস আবাসিক ভবনসহ নানা স্থাপনা থাকবে সেখানে।
বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ সুনামগঞ্জের অধ্যক্ষ মনোজিত মজুমদার জানান, অধ্যক্ষসহ চারজন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অন্যান্য নিয়োগের কার্যক্রম শুরু করেছে।