বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি স্বাশিপের

  •    
  • ২৪ মে, ২০২১ ২১:৩৪

করোনায় ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষাঙ্গণে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা, সর্বোপরি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ঐতিহাসিক মুজিব জন্মশতবর্ষে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের সূচনার লক্ষ্যে আসন্ন বাজেটে শিক্ষা খাতে মোট আয়ের ন্যূনতম ১৫ শতাংশ এবং পর্যায়ক্রমে ২০ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধি জরুরি।

আসন্ন বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ)। শিক্ষকদের এই সংগঠন সংবাদ সম্মেলনে মোট আয়ের ন্যূনতম ১৫ শতাংশ এবং তিন বছরের মধ্যে ২০ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছে।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু। সভাপতিত্ব করেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, করোনায় ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষাঙ্গণে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা, সর্বোপরি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ঐতিহাসিক মুজিব জন্মশতবর্ষে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের সূচনার লক্ষ্যে আসন্ন বাজেটে শিক্ষা খাতে মোট আয়ের ন্যূনতম ১৫ শতাংশ এবং পর্যায়ক্রমে ২০ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধি জরুরি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, করোনা মহামারির কারণে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাও বিপর্যয়ের সম্মুখীন। এক বছর দুই মাস ধরে শিক্ষার্থীরা শ্রেণি কক্ষের বাইরে। সরকার সংসদ টিভি, বেতার এবং অনলাইনসহ বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সক্রিয় রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এখনও এসব আওতার বাইরে। কারণ স্বল্প আয়ের পরিবাবের অনেক শিক্ষার্থী আর্থিক সংকটের কারণে স্মার্ট ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারে সুযোগ পায়নি।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু পাচঁ দফা দাবি তোলেন। দাবিগুলো হলো:

১. এফিলিয়েশনপ্রাপ্ত ননএমপিও মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা (স্বতন্ত্র এবতেদায়ীসহ) ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির জন্য আসন্ন বাজেট প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ রাখা।

২. এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সরকারি অনুরূপ বাড়ি ভাড়া, মেডিক্যাল ভাতা, পূজা উৎসব ভাতা ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান কল্যাণ ট্রাস্ট এবং অবসর বোর্ডের আর্থিক সংকট নিরসনের জন্য আসন্ন বাজেটে অর্থ বরাদ্দ দেয়া।

৩. শিক্ষাকে একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের লক্ষ্যে বাজেটে মোট আয়ের ন্যূনতম ১৫ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে এবং ক্রমশ তা ২০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। এ অর্থ বছরের বাজেটেই তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব না হলে পববর্তী তিন অর্থ বছরে এ অর্থ বরাদ্দ দিয়ে সমস্ত শিক্ষাকে জাতীয়করণের আওতায় আনতে হবে।

৪. আর্থিক কারণে ঝরে পড়া রোধ করতে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অতি দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বৃত্তির ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

৫. বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলি অবিলম্বে কার্যকর হতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর