বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সব শিক্ষার্থীর ‘ইউনিক আইডি’, ধর্মসহ তথ্যে অনেক ‘অপশন’

  •    
  • ২৩ মে, ২০২১ ২১:৩৭

ফরমে শিক্ষার্থীর নাম, জন্ম নিবন্ধন নম্বর, জন্মস্থান, জেন্ডার, জাতীয়তা, ধর্ম, অধ্যয়নরত শ্রেণি, রোল নম্বর, বৈবাহিক অবস্থা, প্রতিবন্ধিতা (ডিজঅ্যাবিলিটি), রক্তের গ্রুপ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কিনা, মা-বাবার নামসহ বেশ কিছু তথ্যের ঘর রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি ঘরে উল্লেখ করা ‘অপশন’ ফেসবুকে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর জন্য একটি ‘ইউনিক আইডি’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষা সংক্রান্ত সব তথ্য থাকবে।

এজন্য ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ‘ইউনিক আইডি তথ্য ফরম’ চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইজ)।

স্ট্যাবলিশমেন্ট অফ ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইইআইএমএস) প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা চার পৃষ্ঠার এই ফরমে আগামী জুনে শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হতে পারে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক মো. শামসুল আলম।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ফরমের প্রথম পৃষ্ঠার একটি অনুলিপিতে দেখা গেছে, এতে শিক্ষার্থীদের মৌলিক বিভিন্ন তথ্যের জন্য সুনির্দিষ্ট ঘর রয়েছে।

ফরমে শিক্ষার্থীর নাম, জন্ম নিবন্ধন নম্বর, জন্মস্থান, জেন্ডার, জাতীয়তা, ধর্ম, অধ্যয়নরত শ্রেণি, রোল নম্বর, বৈবাহিক অবস্থা, প্রতিবন্ধিতা (ডিজঅ্যাবিলিটি), রক্তের গ্রুপ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কিনা, মা-বাবার নামসহ বেশ কিছু তথ্যের ঘর রয়েছে।

এর মধ্যে কয়েকটি ঘরে উল্লেখ করা ‘অপশন’ ফেসবুকে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ফরমে জেন্ডারের ক্ষেত্রে পুরুষ/মহিলার পাশাপাশি ‘অন্যান্য’ অপশনও রাখা হয়েছে। ধর্মের ক্ষেত্রে ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ছাড়াও ‘নট আ বিলিভার’, 'রিফিউজ টু ডিসক্লোজ' ও ‘অন্যান্য’ অপশন রয়েছে।

বৈবাহিক অবস্থার অপশন হিসেবে অবিবাহিত, বিবাহিত, বিধবা, বিপত্নীক ছাড়াও স্বামী-স্ত্রী পৃথক বসবাস, তালাকপ্রাপ্ত, বিবাহবিচ্ছেদের ঘর রয়েছে।

অধ্যাপক শামসুল আলম নিউজবাংলাকে জানান, শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে এই আইডি জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) রূপান্তরিত হবে।

তিনি বলেন, ‘কোনো শিশু জন্মগ্রহণ করলেই সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগের অফিস অফ রেজিস্ট্রার জেনারেলের আওতায় তার জন্ম নিবন্ধন হয়। আর ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া সবার জন্য আছে জাতীয় পরিচয়পত্র। কিন্তু যারা প্রাইমারি, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী, অর্থাৎ যাদের বয়স ১৮ এর নিচে তারা কিন্তু এই সিস্টেমের বাইরে। এজন্য তাদের সিস্টেমের মধ্যে আনতেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ব্যানবেইসকে দায়িত্ব দিয়েছে।’

তিনি জানান, এই প্রকল্পের আওতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে ডেটাবেজ তৈরি করে ইউনিক আইডি দেয়া হবে। এছাড়া, প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিকে যারা অধ্যায়ন করছে, তাদের তথ্য সংগ্রহ করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

শিক্ষার্থীর তথ্য সংগ্রহের এই ফরম তৈরির বিষয়ে অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, ‘সব কিছুই নাগরিকের মৌলিক উপাত্ত কাঠামো (সিটিজেন কোর ডেটা স্ট্রাকচার, সিসিডিএস) অনুযায়ী করা হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় অনুবিভাগ ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে। আর আমাদের এই প্রকল্পের কমিটিতে এটুআই, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।’

নাগরিকের মৌলিক উপাত্ত কাঠামো বিষয়ক প্রজ্ঞাপন

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় অনুবিভাগের ওই প্রজ্ঞাপনের অনুলিপি পেয়েছে নিউজবাংলা। এতে বলা হয়, ‘নাগরিকের নির্দিষ্ট কিছু সাধারণ তথ্য বিভিন্ন সরকারি কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় বার বার পূরণের প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/ বিভাগ/ অধিদপ্তর/ পরিদপ্তর/ অধস্তন দপ্তর নাগরিকের একই তথ্য ভিন্ন ভিন্নভাবে ফরমে এবং ডাটাবেজে সংরক্ষণ করে থাকেন। এ প্রেক্ষাপটে এখন থেকে সকল সরকারি সকল মন্ত্রণালয়/ বিভাগ/ অধিদপ্তর/ পরিদপ্তর/ অধস্তন দপ্তরসমূহে অভিন্নভাবে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সিসিডিএস (CCDS – Citizen Core Data Structure, Version 3.1) অনুসরণ করতে হবে।’

৮৪ পৃষ্ঠার ওই প্রজ্ঞাপনেই জেন্ডার, ধর্ম, বৈবাহিক অবস্থাসহ নাগরিকের বিভিন্ন তথ্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অপশন রাখা হয়েছে, আর সেই নির্দেশনার আলোকেই তৈরি হয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ইউনিক আইডি’ ফরম।

অধ্যাপক শামসুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীর তথ্য সংগ্রহ শেষ হওয়ার পর সেগুলো বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র ও শিক্ষার্থীর জন্মনিবন্ধনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে, যাতে সব তথ্য নির্ভুল হয়।’

কবে নাগাদ শিক্ষার্থীরা এই ইউনিক আইডি পাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতির কারণে আমাদের কার্যক্রম পিছিয়ে গেছে। তবে আমরা আশাবাদী জুন-জুলাই নাগাদ সব শিক্ষার্থী এই ইউনিক আইডি পাবে।

‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালু হলে আমাদের কাজ আরও গতি পাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর