বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘সমস্যার সমাধান হতে পারে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা’

  •    
  • ১৮ মে, ২০২১ ১৫:৪১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, ‘দুটি গুরুত্বপূর্ণ পর্বে ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতারণার শিকার হয়েছে। ১৯৪৮ সালে একবার প্রতারণার শিকার হয় ফিলিস্তিন। তখন ইসরায়েল স্বীকৃতি পেলেও ফিলিস্তিন স্বীকৃতি পায়নি।

যেভাবে ইসরায়েল নামের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তেমনিভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের স্থায়ী সমাধান হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আয়োজিত এক মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে মঙ্গলবার উপাচার্য এ কথা বলেন।

‘ফিলিস্তিনে ইসরাইলের চলমান গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে’ বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এই মানববন্ধন হয়েছে।

মানববন্ধনে উপাচার্য বলেন, ‘দুটি গুরুত্বপূর্ণ পর্বে ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতারণার শিকার হয়েছে। ১৯৪৮ সালে একবার প্রতারণার শিকার হয় ফিলিস্তিন। তখন ইসরায়েল স্বীকৃতি পেলেও ফিলিস্তিন স্বীকৃতি পায়নি।

‘তখনই তাদের প্রতি বড় আকারের প্রতারণা করা হয়েছিল। দ্বিতীয়বার প্রতারণার শিকার হয়েছে ১৯৬৭ সালে। প্রতিটি ঘটনায় ফিলিস্তিন তার ভূমি হারিয়েছে। তার বিভিন্ন অঞ্চল ইসরায়েলি বাহিনী দখল করে নিয়েছে।’

এ ছাড়া দুটি বৈশ্বিক ফোরামের মাধ্যমেও ফিলিস্তিন প্রতারণার শিকার হয়েছিল বলে বক্তব্যে বলেন তিনি।

আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ওআইসির মাধ্যমে ও জাতিসংঘের মাধ্যমেও ফিলিস্তিন প্রতারণার মিকার হয়। জাতিসংঘের মাধ্যমে যে প্রতারণার শিকার হয়েছিল সেটির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য৷

‘অন্যদিকে ওআইসি যে প্রতারণা করেছে তার পেছনে মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে মিশর, জর্ডান সৌদি আরব। এগুলো হলো ইতিহাসের আলোকে কিছু ধ্রুব সত্য। এর মাধ্যমে নারী শিশুসহ অনেক নিরীহ লোককে হত্যা করা হয়েছে, ক্রমান্বয়ে ফিলিস্তিনের ভূমি হাতছাড়া হয়েছে ইজরায়েলের হাতে। ফিলিস্তিনিরা হয়েছে বস্তুত পক্ষে বন্দি।’

ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীকে আর প্রতারণার শিকার না করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের উদাত্ত আহ্বান, আপনারা আর এই জনগোষ্ঠীকে প্রতরণার শিকার করবেন না৷ এই জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাধীন সার্বভৌম ভূমি প্রতিষ্ঠা করা খুবই জরুরি। সেটা নিঃসন্দেহে ১৯৬৭ সালের ম্যাপ নয়, ১৯৪৮ সালের ম্যাপ অনুযায়ী হওয়া বাঞ্ছনীয়।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ঢাবির আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক রহমত উল্লাহ মানববন্ধনে সভাপতিত্বে করেন।

মানববন্ধনে সংহতি জানায় প্যালেস্টাইন স্টুডেন্টস ইউনিয়নের একজন প্রতিনিধি।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়ার সঞ্চলনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, প্রক্টর অধ্যাপক ড এ কে এম গোলাম রাব্বানীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক বক্তব্য দেন।

এ বিভাগের আরো খবর