বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গবেষণায় চুরি: সামিয়ার মামলা তদন্তে সিআইডি

  •    
  • ১ এপ্রিল, ২০২১ ১৩:১৩

সামিয়ার পক্ষে মামলার আবেদন করেছিলেন আইনজীবী তানভীর হোসেন। তিনি জানান, সামিয়া রহমানকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। তাই তিনি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য এসেছেন।

গবেষণায় চুরির ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অ্যালেক্স মার্টিন নামে এক বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে সামিয়া রহমানের করা মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তভার দিয়েছে আদালত।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ২০ মে জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে একই আদালতে মামলাটির আবেদন করেন।

এদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে মামলাটির বিষয়ে পরে আদেশ হবে বলে জানিয়ে দেয়।

ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম নিউজবাংলাকে জানান, সামিয়া রহমান বুধবার মামলার আবেদন করেছিলেন। আদালত এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সিআইডিকে তদন্তের আদেশ দিয়েছে।

সামিয়ার পক্ষে মামলার আবেদন করেছিলেন আইনজীবী তানভীর হোসেন। তিনি জানান, সামিয়া রহমানকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। তাই তিনি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য এসেছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর সামিয়া রহমান ও ক্রিমিনোলজি বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের বিরুদ্ধে প্লেজারিজমের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

অভিযোগে দাবি করা হয়, তদন্ত কমিটি ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর শিকাগো জার্নালের ই-মেইলের ভিত্তিতে সামিয়া রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সহযোগী অধ্যাপক হতে পদাবনতি দিয়ে সহকারী অধ্যাপক করে যে শাস্তির সুপারিশ করে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভুয়া, তথ্য বিভ্রাট, বানোয়াট।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ওই তারিখে শিকাগো জার্নাল থেকে অফিশিয়ালি সামিয়া রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কোনো ই-মেইল কখনোই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ই-মেইলে পাঠানো হয়নি। অ্যালেক্স মার্টিন বলে শিকাগো জার্নালে কেউ কখনও কাজ করেনি। এমনকি শিকাগো প্রেসে অ্যালেক্স মার্টিন নামে কোনো ব্যক্তি নেই।

সামিয়া রহমান তার ফেসবুকে শিকাগো জার্নালের অফিশিয়াল এডিটর ক্রেইজ ওয়াকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযুক্তের তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে জানতে চান।

ক্রেইজ ওয়াকার জানান, অ্যালেক্স মার্টিন বলে কেউ কখনও শিকাগো জার্নালে ছিল না, কেউ নেই এবং অ্যালেক্সশিকাগোজার্নাল@জিমেইল ডটকম নামে তাদের কোনো ই-মেইল আইডি নেই।

এখানে কথিত অ্যালেক্স মার্টিন সেই ডোমেইনও ব্যবহার করেননি। নিজস্ব ব্যক্তিগত অ্যালেক্সশিকাগোজার্নাল@জিমেইল ডটকম থেকে মেইলটি পাঠানো হয় এবং এখন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেই মেইলের কোনো সফট কপি সামিয়া রহমানকে দেয়া হয়নি।

মিথ্যা ও বানোয়াট মেইল আইডির ওপর ভিত্তি করেই সামিয়া রহমানকে ‘চৌর্যবৃত্তির’ মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় বলে আইনজীবী মামলায় উল্লেখ করেন।

সামিয়া রহমান শিকাগো জার্নালের ওয়েবসাইট শিকাগোজার্নাল ডটকমের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে জানতে পারেন, তাদের অফিসিয়াল ই-মেইল আইডি এডিটর@শিকাগোজার্নাল ডটকম এবং ওয়েব সাইটের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ক্রেইজ ওয়াকার।

এতে বোঝা যায়, শিকাগো জার্নালে অ্যালেক্সশিকাগোজার্নাল@জিমেইল ডটকম নামে কোনো অফিশিয়াল ই-মেইল আইডি নেই। বিষয়টি সামিয়া রহমানের সন্দেহ ও উদ্বেগজনক মনে হলে গত ২১ ফেব্রুয়ারি অন্য এক জায়গায় যোগাযোগ করলে অ্যালেক্স মার্টিন ফেক নাম এবং ওই মেইল আইডি তৈরিকৃত এবং বানোয়াট।

মামলার আবেদনে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে আদালতের কাছে আবেদন করেছেন সামিয়ার আইনজীবী।

এ বিভাগের আরো খবর