এ বছর ২ হাজার মুক্তিযোদ্ধার উত্তরাধিকারীকে বৃত্তি দেবে ভারত। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারত সরকার ২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারীদের বৃত্তি দিয়ে আসছে। এ বছর ২ হাজার শিক্ষার্থী, যারা মুক্তিযোদ্ধার পরবর্তী প্রজন্ম, এই বৃত্তি পাচ্ছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এক অনন্য ও ঐতিহাসিক মৈত্রীর সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে অভিন্ন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ইতিহাস এবং ভৌগোলিক উপাদানের ভিত্তিতে। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং জনগণের উন্নতির জন্য বাংলাদেশের জাতীয় প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের ধারাবাহিকতায় কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালেও এই বৃত্তি দেয়া হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বের প্রতি ভারত সরকার ও জনগণের অন্তর্নিহিত প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন বলেও উল্লেখ করা হয়।
ভারত সরকার ২০০৬ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারীদের জন্য এমন বৃত্তি প্রকল্প শুরু করে। প্রাথমিকভাবে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়া হতো। স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর ২৪ হাজার টাকা করে চার বছর এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের দুই বছর ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়।
২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে নতুন বৃত্তি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়।
এ প্রকল্পের আওতায় পরবর্তী পাঁচ বছরে ১০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হবে। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ২০ হাজার টাকা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।
উভয় প্রকল্পের জন্য ভারত সরকার ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৮২ জন শিক্ষার্থী এই প্রকল্পের আওতায় উপকৃত হয়েছে এবং এ খাতে ৩৭ দশমিক ৯৯ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
এই বছর উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের ১ হাজার করে মোট ২ হাজার শিক্ষার্থী এই প্রকল্পের আওতায় বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় দেশের সব জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত করতে ব্যাপক সহযোগিতা করেছে।
এ বছর থেকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগের সঙ্গে ডিরেক্ট ব্যাংক ট্রান্সফার (ডিবি) পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বৃত্তির পরিমাণ সরাসরি জমা হবে।