বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার নির্দেশিকা প্রকাশ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩১ মার্চ, ২০২১ ১৬:০৯

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীরা ১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন। এরপর প্রাথমিক আবেদনের ফলাফল ও চূড়ান্ত আবেদন শেষে আগামী ১৯ জুন এ ইউনিটের (বিজ্ঞান), ২৬ জুন বি ইউনিটের (মানবিক) ও ৩ জুলাই সি ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা হবে।

দেশের ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার নির্দেশিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও জিএসটি গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি কমিটির (২০২০-২০২১) সচিব প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীরা ১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন। যেসব শিক্ষার্থীর ন্যূনতম যোগ্যতা থাকবে, তারা সবাই প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন। এরপর প্রাথমিক আবেদনের ফলাফল ও চূড়ান্ত আবেদন শেষে আগামী ১৯ জুন এ ইউনিটের (বিজ্ঞান), ২৬ জুন বি ইউনিটের (মানবিক) ও ৩ জুলাই সি ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা হবে। এ পরীক্ষা দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে চলবে ১টা পর্যন্ত।

ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে জিএসটি (সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি) গুচ্ছভুক্ত ২০টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটিমাত্র ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তির সুযোগ পাবেন। ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে উল্লেখিত যেকোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে ভর্তি হতে পারবেন।

প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার শাখা (বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য) অনুযায়ী একটিমাত্র ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। দুটি পর্যায়ে আবেদন করতে হবে, প্রাথমিক আবেদন ও চূড়ান্ত আবেদন (প্রাথমিক আবেদনের ভিত্তিতে চূড়ান্ত আবেদনের যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হলে)।

ভর্তি পরীক্ষার নির্দেশিকায় বলা হয়, প্রাথমিকভাবে আবেদন করা শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুসারে প্রতিনিটি ইউনিটে চূড়ান্ত আবেদনের জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচিত হবেন। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ছয়টি মানদণ্ড ক্রমানুসারে ব্যবহার করে প্রাথমিক আবেদনকারীদের মেধাক্রম প্রস্তুত করা হবে। প্রতিটি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ দেড় লাখ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।

বিজ্ঞান শাখায় মেধাক্রম প্রস্তুতে ছয়টি মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে–এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ; এসএসসি ও এইচএসসির মার্কস; এইচএসসির পদার্থের জিপিএ; এইচএসসির পদার্থের মার্কস; এইচএসসির রসায়নের জিপিএ; এইচএসসির রসায়নের মার্কস।

অন্যদিকে বাণিজ্য ও মানবিক শাখায় মেধাক্রম প্রস্তুতে ছয়টি মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে– এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ; এসএসসি ও এইচএসসির মার্কস; এইচএসসির বাংলার জিপিএ; এইচএসসির বাংলার মার্কস; এইচএসসির ইংরেজির জিপিএ; এইচএসসির ইংরেজির মার্কস।

প্রাথমিক আবেদনকারীদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য যোগ্য শিক্ষার্থীদের ফলাফল ও চূড়ান্ত আবেদন পরবর্তী সময়ে ভর্তির সব তথ্য ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেয়া হবে।

গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রাথমিক আবেদনে শিক্ষার্থীদের কোনো ফি দিতে হবে না। যেসব শিক্ষার্থী ২০১৯ বা ২০২০ সালে এইচএসসি/আলিম ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, তারাই আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীর বিজ্ঞান শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৮.০, বাণিজ্য শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৭.৫ এবং মানবিক শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৭.০ থাকতে হবে। তবে প্রত্যেক শাখার বিভাগে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫ থাকতে হবে।

শুধু এ বছরের জন্যই গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯ ও ২০২০ সালে এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। আগামী বছর থেকে পূর্ববর্তী বছরের পাস করা অর্থাৎ সেকেন্ড টাইমার শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না। প্রাথমিক আবেদনকারীদের মধ্য থেকে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য যোগ্য শিক্ষার্থীদের ফলাফল ২৩ এপ্রিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেসেজের মাধ্যমে জানানো হবে। গুচ্ছ পদ্ধতিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একযোগে যতজন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ রয়েছে, মেধার ভিত্তিতে ততজন শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত আবেদন করার সুযোগ দেয়া হবে।

প্রাথমিকভাবে বাছাই করা শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে ৫০০ টাকা জমা দিয়ে ২৪ এপ্রিল থেকে ২০ মে তারিখের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য চূড়ান্ত আবেদন করতে হবে। আবেদনকারীরা ১ জুন থেকে ১০ জুনের মধ্যে এডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। সব পরীক্ষা নির্দিষ্ট কেন্দ্রে একযোগে দুপুর ১২টায় শুরু হবে।

একজন শিক্ষার্থী কমপক্ষে ৫টি পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচন/চয়েস করতে পারবেন। ২০১৯ সালের পাস করা শিক্ষার্থীরা বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্র হিসেবে চয়েস বা পছন্দ করতে পারবেন না। প্রয়োজনে পছন্দ করা নির্দিষ্ট কেন্দ্রের বাইরেও পরীক্ষা দিতে হতে পারে। জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তি পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্য ভর্তি সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট (www.gstadmission.orgwww.gstadmission.ac.bd) পাওয়া যাবে।

এ বিভাগের আরো খবর