বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বন্ধ আছে কওমি মাদ্রাসা, ঈদের পর সিদ্ধান্ত

  •    
  • ৩০ মার্চ, ২০২১ ০১:৪৫

করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তার অংশ হিসেবে কওমি মাদ্রাসাগুলোও বন্ধ রয়েছে।  

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের দেয়া ১৮ দফা নির্দেশনা অনুযায়ী অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোও বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে। এখানে শুধু কওমি না, সব মাদ্রাসা, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। করোনা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এখনই সংক্রমণ রোধ না করা গেলে সমস্যা হবে।’

দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলো বন্ধ রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ যুবায়ের।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ক্লাস কিন্তু আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। যখন নিচের পরীক্ষাগুলো হয়, তারও আগে ক্লাস বন্ধ হয়ে গেছে। ক্লাস বন্ধ, মাদ্রাসা বন্ধ। শুধু যে কটা ক্লাসের পরীক্ষা বাকি আছে, তাদের পরীক্ষা চলছে।’

ঈদের ছুটি শেষে কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষাবছর শুরু হয় জানিয়ে মাওলানা যুবায়ের বলেন, ‘পরিস্থিতি যদি ভালো থাকে, ঈদের ছুটির পর ক্লাস শুরু হবে।’

করোনা ইস্যুতে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গেল বছরের আগস্টে কওমি মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেফাকুল মাদারাসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) বিশেষ আবেদনে সাড়া দিয়ে কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুমতি দেয়া হয়।

বেফাক মহাপরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, তাদের পরিচালিত দেশের ১৩ হাজার ৭১০টি মাদ্রাসায় ক্লাস বন্ধ রয়েছে। পরীক্ষাও নেয়া হয়ে গেছে। তবে মাস্টার্স সমমানের পরীক্ষা গ্রহণ বাকি রয়েছে।

শবে বরাতের বন্ধ শেষে বুধবার থেকে এই পরীক্ষা নেয়ার কথা ছিল বলেও জানান তিনি।

মাওলানা যুবায়ের বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যায় সরকারি প্রজ্ঞাপন পাওয়ার পর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি বৈঠকে বসার কথা ভাবছে। বৈঠকে তারা ঠিক করবেন কিভাবে কী করা যায়।’

যেহেতু পরীক্ষা গ্রহণে সরকারের কোনো বাধা নেই, তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা শেষ করতে চায় বেফাক।

মাওলানা যুবায়ের বলেন, ‘শবে বরাতের আগে আমরা নিচের ক্লাসের পরীক্ষা শেষ করেছি। এখন শুধু আল-হাইয়ার পরীক্ষা বাকি আছে। পরীক্ষা হবে– আমরা এমন প্রস্তুতি রাখছি।’

হেফাজত ইসলামের নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকারের সবার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিলে তো তা মানতেই হবে।’

তবে এখনও বিষয়টি নিয়ে তারা কোনো বৈঠক করেননি বলে জানান আবদুর রব ইউসুফি। সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে বলেও জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর