বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাবি উপাচার্যের ছবি দিয়ে জন্মবার্ষিকীর ব্যানার

  • মনিরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি   
  • ১৭ মার্চ, ২০২১ ২২:১৪

‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কোনো রাজনৈতিক পদ নয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর ছবি চাইলে সবাই করতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক নেতার মতো করে উপাচার্যের ছবি ব্যবহার উপাচার্য পদকে অসম্মান করার শামিল।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের ছবি ব্যবহার করে ব্যানার তৈরি করেছেন বিশ্ববদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা।

তবে পরে আনোয়ার পাশা ভবনের সামনে থেকে ব্যানারটি সরিয়ে ফেলা হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এ ব্যানার তৈরি করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তৈয়ব আলী।

শহীদ আনোয়ার পাশা ভবন কল্যাণ সমিতির ওই ব্যানারে লেখা হয়, ‘১০১ তম জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা।’

এর ডানপাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ছবি এবং বাম পাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের ছবি।

ব্যানার টাঙানোর আগেই তা সরিয়ে ফেলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মো. আব্দুল মুহিত। তিনি জানান, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে ভিসি স্যারের ছবি সংবলিত একটা ব্যানার টানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে উপাচার্যের অনুমতি না থাকায় আমরা দেখামাত্র সে চেষ্টা বন্ধ করে দিই। আমরা তাদের বলেছি, আজকের এই দিনের জন্য এই ব্যানার সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এমন একটি ব্যানার করেন, যেখানে উপাচার্য স্যারের ছবি থাকবে না।’

উপাচার্যের ছবি সংবলিত ব্যানার কেন বানানো হয়েছে, জানতে চাইলে তৈয়ব আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ব্যানার করিনি। ব্যানারের ডিজাইনটা স্যারকে (মো. আব্দুল মুহিত) দেখিয়ে বলেছি এই ব্যানার করা যাবে কিনা। তিনি করা যাবে না বললে আমরা ব্যানারটার হার্ড কপি আর ছাপাইনি।’

তবে ব্যানারটি এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে জানালে তৈয়ব আলী গাড়িতে আছেন বলে ফোন কেটে দেন।

তৈয়বের দাবির বিষয়ে ড. মুহিত বলেন, ‘ব্যানার টাঙানোর আগেই আমরা বন্ধ করে দিয়েছি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কোনো রাজনৈতিক পদ নয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর ছবি চাইলে সবাই করতে পারেন। কিন্তু রাজনৈতিক নেতার মতো করে উপাচার্যের ছবি ব্যবহার উপাচার্য পদকে অসম্মান করার শামিল।

সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ আখতারুজ্জামানকে ফোন করলে তিনি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকায় কোনো মন্তব্য করেননি।

এ বিভাগের আরো খবর