বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করতে রেজিষ্ট্রার আবু হেনা মুস্তাফা কামাল, ট্রেজারার হাসিবুর রশিদসহ ৩২ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাক্ষ্য নিয়েছেন ইউজিসির তদন্ত দল। তবে ক্যাম্পাসে আসেননি উপাচার্য ।
ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রোববার বেলা ১২ টার দিকে ক্যাম্পাসে আসেন। রাত দশটায় তারা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান।
ইউজিসির তদন্ত দল শুরুতে সাত শিক্ষকের ১৮টি অভিযোগ এবং কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশনের ১১ টি অভিযোগের তদন্ত শুরু করে।
শনিবার উপাচার্যের বিরুদ্ধে ১১১ টি অনিয়মের অভিযোগ এনে শ্বেতপত্র বের করে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের একাংশের সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদ। সেই শ্বেতপত্র তদন্ত দলকে দেন তারা। সেইসব অভিযোগও আমলে নিয়েছে ইউজিসি।
বর্তমানের ১১১ টি অভিযোগের মধ্যে আগের দেয়া ২৯টি অভিযোগও ছিল।
অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান বলেন, আমরা সকল তথ্য উপাত্ত এবং সাক্ষ্য উপস্থাপন করেছি। আশা করছি সরকার এই তদন্তের পর একটা ভালো সিদ্ধান্ত নেবে।
ইউজিসির তদন্ত দলের প্রধান অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ জানান, আমরা দুপুর ১২ টায় এসেছি, উপাচার্যের পক্ষে ও বিপক্ষে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাক্ষ্য আমরা নিয়েছি। সময়মতো তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
এদিকে, উপাচার্য কলিমুল্লাহর দুর্নীতির তদন্ত যেন ভিন্ন খাতে না যায় সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে রোববার রাত নয়টায় বিক্ষোভ করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। এ সময় তারা উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।
ছাত্রলীগ সভাপতি তুষার কিবরিয়া এতে নেতৃত্ব দেন।
এসময় প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলার সিন্ডিকেট রুমে ইউজিসির তদন্ত দল উপাচার্যের
পক্ষে-বিপক্ষের শিক্ষক- কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাক্ষ্য নিচ্ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি তুষার কিবরিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, এই উপাচার্য আসার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম দুর্নীতির আখড়া তৈরি করেছেন। আমরা চাই, তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হোক।
উপাচার্যের একান্ত সচিব আমিনুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ইউজিসির তদন্ত দল এসেছে ক্যাম্পাসে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সহযোগিতা করেছে।