বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশ: চলছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির ওয়েবিনার

  •    
  • ১৩ মার্চ, ২০২১ ১৫:৩২

ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করছেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। প্রধান অতিথি হিসেবে আছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ: প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বিশাল অর্জন’ শীর্ষক লাইভ ওয়েবিনার শুরু হয়েছে।

বেলা ৩টায় শুরু হওয়া এই ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করছেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।

প্রধান অতিথি হিসেবে আছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

আলোচক হিসেবে যুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবায়াত-উল-ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রো-ভাইস চেয়ারপারসন ড. শেখ মামুন খালেদ।

ওয়েবিনার সঞ্চালনায় আছেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্কুল অব বিজনেসের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক এস এম আরিফুজ্জামান। এই আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আগেই স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্ত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এই সুসংবাদ নিয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের এই গৌরব নতুন প্রজন্মকে উৎসর্গ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এই অর্জন উৎসর্গ করছি- দেশের নতুন প্রজন্মকে। যারা আজকের বাংলাদেশকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।’

তিনটি সূচককে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বের হওয়ার যোগ্যতা হিসেবে মূল্যায়ন করে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (ইউএন-সিডিপি)। সূচকগুলো হলো মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা। এই তিন সূচকেই পাসের চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে বাংলাদেশ।

উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নাম ওঠাতে মাথাপিছু আয় ধরে রাখতে হয় ১ হাজার ২৩০ ডলার, সেখানে গত বছর বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ২০ ডলার।

মানব উন্নয়ন সূচকে পয়েন্ট থাকতে হয় ৬৬, বাংলাদেশের আছে ৭৫.৩ পয়েন্ট। আর অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতার সূচকে মান থাকতে হয় ৩২ বা তার কম। এই সূচকে বাংলাদেশের পয়েন্ট ২৫ দশমিক ২।

ওয়েবিনার আয়োজক কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ বলছে, এই সাফল্য উদযাপনের এখনই সময়। এই অর্জনে উজ্জীবিত হয়ে আরও সামনে যেতে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হতে চেষ্টা করতে হবে। পূরণ করতে হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন।

২০১৮ সালের মার্চে প্রথম দফায় বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বের হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। নিয়মানুযায়ী, এলডিসি থেকে বের হতে জাতিসংঘের সিডিপির পরপর দুটি ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতি পেতে হয়।

জাতিসংঘের সিডিপির দ্বিতীয় দফার বৈঠক শেষে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জানানো হয়, প্রতিটি সূচকেই প্রয়োজনীয় মানদণ্ডের যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছে বাংলাদেশ।

সিডিপি থেকে টানা দুইবার স্বীকৃতি পেয়ে চূড়ান্তভাবে উত্তরণে প্রস্তুতির জন্য তিন বছর অপেক্ষা করতে হয়। সে অনুযায়ী ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে বের হওয়ার কথা বাংলাদেশের। উত্তরণ প্রক্রিয়াকে মসৃণ ও টেকসই করা এবং করোনার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে বাড়তি দুই বছর সময় পেয়েছে বাংলাদেশ।

সে হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম উঠবে ২০২৬ সালে।

এ বিভাগের আরো খবর