করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকলে স্কুল-কলেজ নির্ধারিত ৩০ মার্চ নাও খুলতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বলেছেন, গত এক বছর যেভাবে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, এখনও সেভাবেই করা হবে।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
‘আমাদের কাছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক এবং সকলের স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং নিরাপত্তার বিষয়টিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এক বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করে পরামর্শকদের সঙ্গে কথা বলে যেভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, এবারেও এখন আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।
‘সংক্রমণ কিছুটা বাড়তির দিকে, যদি দেখি যে বাড়ছে, তাহলে পরামর্শকদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব যে আমরা ৩০ তারিখেই খুলব, নাকি তারিখটা পরিবর্তন হবে।’
করোনাভাইরাস সংকটের কারণে প্রায় এক বছর বন্ধ থাকা দেশের সব স্কুল-কলেজ আগামী ৩০ মার্চ খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
অবশ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ইঙ্গিত এর আগে থেকেই ছিল। গত ২২ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনায় ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল-কলেজগুলোকে ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি নির্দেশনা দেয়া হয়।
এরপর, ৩০ জানুয়ারি এইচএসসির ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাসের করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আগামী মার্চ বা এপ্রিলের দিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা এবং ক্লাস চালুর সিদ্ধান্ত হতে পারে।
‘করোনাভাইরাস আমরা যেভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখছি, সবাই যদি আরেকটু মেনে চলেন আমরা এটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব এবং খুব দ্রুতই আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে পারব। আমরা আশা করছি যে, হয়তো আগামী মার্চ-এপ্রিল, আমরা মার্চ মাসটা দেখব।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখে কোনো পরিবর্তন আসলে সেটা যথাসময়ে জানিয়ে দেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘পরিবর্তন মানে তো এগিয়েও আসতে পারে। একটু বাড়তির দিকে এটা এমনও হতে পারে যে টিকা এসে পড়াতে সবার মধ্যে একটা শৈথিল্য এসেছে সেটাও হতে পারে।’
গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ধাপে ধাপে সাত দফা ছুটি বাড়ানো হয়েছে।