ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষকরা।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানায় জবির শিক্ষক সমিতি, নীল দল ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল কর্তৃপক্ষ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা।
স্বাধীনতা-সংগ্রামে বাঙালিকে ঝাঁপিয়ে পড়তে ৭ মার্চের সেই বজ্র ঘোষণার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে তারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।
৫০ বছর আগে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাঙালির ইতিহাসের সেই অবিস্মরণীয় দিনটির সূচনা হয়েছিল। এই দিনে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে উত্তাল জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বজ্রকণ্ঠে আওয়াজ তুলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
এই ভাষণের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নিপীড়নের বিরুদ্ধে নিরস্ত্র বাঙালিকে মুক্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত করেন বঙ্গবন্ধু। বাঙালির স্বাধীনতা-সংগ্রাম জনযুদ্ধে পরিণত হয়। ওই ভাষণে উদ্দীপ্ত হয়ে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ আর ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয় মহান স্বাধীনতা। বিশ্ব মানচিত্রে নিজস্ব স্থান করে নেয় লাল-সবুজের বাংলাদেশ।
এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নূরে আলম আব্দুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম। নীল দলের সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ড. মোস্তফা কামাল, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম, আবাসিক শিক্ষক প্রতিভা রানী কর্মকারসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সব স্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। সবার মাঝে এ অমর ভাষণের চেতনা ছড়িয়ে পড়ুক। যুগ যুগ ধরে বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ স্মরণে রাখবে।’
নীল দলের সাধারণ সম্পাদক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের এই ভাষণই বাঙ্গালির মুক্তির পথকে প্রশস্ত করেছিল। কালজয়ী এই ভাষণ ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে আজীবন। বঙ্গবন্ধুর চেতনা বুকে ধারণ করে দেশকে ভালোবেসে এগিয়ে যেতে হবে।’