বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রতিবেদন ‘মিথ্যা’, দায়ী শিক্ষামন্ত্রী: ভিসি কলিমউল্লাহ

  •    
  • ৪ মার্চ, ২০২১ ১২:১২

সংবাদ সম্মেলনে কলিমউল্লাহ বলেন, ইউজিসির প্রতিবেদনটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির পরামর্শে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।

তিনি বলেছেন, প্রতিবেদনটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

২ মার্চ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকারে পাওয়া বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পে উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পায় ইউজিসির তদন্ত কমিটি। এ ঘটনার দুই দিন পর এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এলেন উপাচার্য।

অধ্যাপক কলিমউল্লাহ বলেন, ‘ইউজিসির যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে এটা বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও উপমন্ত্রীর (মহিবুল হাসান চৌধুরী) রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকে করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি যে আসনে নির্বাচন করে সেই আসনে আমার নানা ও মামা প্রতিনিধিত্ব করেন। এটা চাঁদপুরের স্থানীয় রাজনৈতিক কারণে হতে পারে।’

কী কারণে শিক্ষামন্ত্রী ইউজিসির প্রতিবেদনকে প্রভাবিত করলেন, এ প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘হয়তো তিনি আমাকে ব্যক্তিগতভাবে অপছন্দ করেন। এ ছাড়া চাঁদপুরের স্থানীয় রাজনীতির কারণে করতে পারেন। আমার পরিবার বহু আগে থেকেই রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

‘তথাকথিত সুরক্ষা কমিটির নাম দিয়ে হাতে গোনা ২০ থেকে ৩০ জন নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এ ধরনের প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জায়গা শিক্ষা মন্ত্রণালয় নয়।’

অধ্যাপক কলিমউল্লাহ বলেন, ‘ইউজিসির প্রতিনিধি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই থেকে তিন ঘণ্টা অবস্থান করে এ ধরনের মিথ্যা প্রতিবেদন তৈরি করেন। এটা বক্সের টিক চিহ্ন দেয়ার মতো। তদন্তের প্রয়োজনে যেতে হবে, যাওয়া হয়েছে নাকি টিক দেয়ার জন্য গিয়ে টিক দিয়ে দিয়েছেন।

‘প্রতিনিধি সঠিকভাবে তদন্ত করতে রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়নি। তদন্ত প্রতিবেদন কমিটি যেসব তথ্য চেয়েছে, আমরা সেসব দিয়েছি। পরে প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বিভিন্ন সময় ইউজিসিতে গিয়ে এ প্রতিবেদনকে প্রভাবিত করেছে।

‘শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির নির্দেশনায় এ ধরনের অবাঞ্ছিত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ইউজিসির প্রতিবেদন আমরা প্রত্যাখ্যান করি। এ প্রতিবেদনের দায় অবশ্যই ইউজিসিকে নিতে হবে। ইউজিসি এ দায় এড়াতে পারে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইউজিসি ইউটিলিটি নিয়ে আমি অবশ্যই প্রশ্ন তুলব, তারা কীভাবে এ ধরনের প্রতিবেদন তৈরি করতে পারে। তাদের দেউলিয়াপনার মনোভাব এখনো কীভাবে রয়ে গেছে।’

ইউজিসি অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস কমিটির সদস্য মঞ্জুর কাদেরকে অব্যাহতি দিতে সুপারিশ করা হয়েছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয় কমিটি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে একনেকের এক বৈঠকে বেরোবির ছাত্রীদের একটি হল ও ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউট ভবন নির্মাণের জন্য বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ৯৭ দশমিক ৫০ কোটি টাকা।

প্রকল্পটি তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. জলিল মিয়ার আমলে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী ছাত্রীদের হল ১০ তলা করা এবং সেখানে সব ধরনের সর্বাধুনিক সুযোগসুবিধা রাখার নির্দেশ দেন।

একইভাবে ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউটকেও আধুনিক মানসম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে ভবনের নকশা পরিবর্তন করে আধুনিক যুগোপযোগী নকশা তৈরি করে প্রকল্পটি তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূর-উন-নবীর আমলে অনুমোদন দেয়া হয়। তাতে সায় দেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। এই দুটি স্বতন্ত্র ভবন নির্মাণের জন্য ৭৮ কোটি ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর