চার বছর ধরে ‘হুমকিতে থাকায়’ গবেষণাকাজে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেননি বলে দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের পদাবনতি পাওয়া শিক্ষক সামিয়া রহমান।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন দাবি করেন।
সামিয়া বলেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নোংরা রাজনীতির শিকার। এ থেকে মুক্তি পেতে তিনি রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চান।
সামিয়ার ভাষ্য, ২০১৭ সালে অভিযোগ ওঠার পর চার বছর তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হয়েছে, যাতে এই গবেষণার বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা না বলেন। তদন্তাধীন বিষয় বলে তার মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হয়েছিল। সে সুযোগে ষড়যন্ত্রকারীরা দিনের পর দিন তার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে গেছে।
চাকরি ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছিল জানিয়ে সামিয়া বলেন, ২০১৯ সালে তিনি বর্তমান উপাচার্যের কাছে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি তদন্ত কমিটির দুইজন সদস্য পরিবর্তন করতে বলেছিলেন।
গত ২৯ জানুয়ারি একাডেমিক গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির দায়ে সামিয়া রহমানসহ তিন শিক্ষককে পদাবনতি দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।
- আরও পড়ুন: সামিয়াসহ ঢাবির তিন শিক্ষকের পদাবনতি
বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে নামিয়ে সহকারী অধ্যাপক করেছে। এ ছাড়া সামিয়ার গবেষণা প্রবন্ধের সহলেখক অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানকে শিক্ষা ছুটি শেষে চাকরিতে যোগদানের পর দুই বছর একই পদে থাকতে হবে।
শাস্তির সিদ্ধান্তে বলা হয়, ২০১৬ সালে সামিয়া ও মারজানের যৌথভাবে লেখা ‘এ নিউ ডাইমেনশন অব কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার: এ কেস স্টাডি অব দ্য কালচারাল ইমপেরিয়ালিজম’ শিরোনামের আট পৃষ্ঠার একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। প্রবন্ধের প্রায় পাঁচ পৃষ্ঠা ছিল ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকোর ‘দ্য সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার’ নামের একটি নিবন্ধের হুবহু নকল।
এ ছাড়া একই সিন্ডিকেট সভায় পিএইচডি থিসিসে জালিয়াতির আরেক ঘটনায় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক ওমর ফারুকের ডিগ্রি বাতিলের পাশাপাশি তাকে সহকারী অধ্যাপক থেকে প্রভাষক পদে নামিয়ে দেয়া হয়েছে।