বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি সহপাঠীদের

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৬:২৯

‘জেলের তালা ভাঙব, বন্দিদের আনব’ ব্যানারে এ মানববন্ধন করেন গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের সহপাঠীরা।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে বামপন্থি ছাত্র সংগঠনের মশাল মিছিল থেকে গ্রেপ্তার সাত শিক্ষার্থীর মুক্তি দাবি করেছেন তাদের সহপাঠীরা।

রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান সহপাঠীরা। এ সময় তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার শ্রমিকনেতা রুহুল আমিনেরও মুক্তি দাবি করেন।

‘জেলের তালা ভাঙব, বন্দিদের আনব’ ব্যানারে এ মানববন্ধন করেন গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের সহপাঠীরা।

শাহবাগে মশাল মিছিল থেকে শুক্রবার গ্রেপ্তার সাত শিক্ষার্থীকে শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করলে তা নাকচ করে বিচারক আট শিক্ষার্থীকে তিন দিনের মধ্যে যেকোনো এক দিন জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।

পুলিশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষার্থীদের কীভাবে আটক করে সে প্রশ্ন তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তায় নিয়োজিত প্রক্টরিয়াল টিমের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।

ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী কাজী রাকিব বলেন, ‘জামিন একটি আইনি অধিকার। প্রত্যেক আসামিই জামিন পাওয়ার অধিকার রাখেন। শিকদার-হারিসদের জামিন দেয়া হলেও আমাদের বন্ধুদের, লেখক মুশতাকদের জামিন হয় না। আমরা লেখক মুশতাকের হত্যার বিচার জনগণের কাছে দাবি করছি।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কর্মী রবিউল ইসলাম মীম বলেন, ‘সারা দেশে একের পর এক ব্যাংক লুট করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয় না, বিচার হয় না। যারা এর বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লেখেন তাদের কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের লড়তে হবে, আমাদের ভাইদের মুক্ত করব। এ জন্য আমাদের সংগ্রাম জোরদার করতে হবে।’

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কর্মী জাবির আহমেদ জুবেল বলেন, ‘যাদের সঙ্গে আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি তারা আজ কারাগারে বন্দি। আমাদের বন্ধুদের ওপর যখন পুলিশ হামলা করে, তখন ক্যাম্পাসের প্রক্টরিয়াল টিম কোনো ভূমিকা পালন করেনি। প্রক্টরিয়াল টিম আমাদের কোনো রকম নিরাপত্তা দেয়নি। পুলিশ আমাদের বন্ধুদের আটকে রাখতে পারবে না। আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখব।’

অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র মোনায়েম আল আজাদ বলেন, ‘সংবিধানে চারটি মূলমন্ত্রের একটি হলো গণতন্ত্র। আর এই গণতন্ত্রের মূল বিষয় মত প্রকাশের স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতা আজ বাংলাদেশে নিশ্চিত না। পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকে আমার ভাইদের মারল। আর প্রক্টরিয়াল টিম ছাত্রদের নিরাপত্তা দেয়নি, শিক্ষার্থীদের পক্ষে দাঁড়ানোর প্রয়োজনও তারা বোধ করেনি। আমরা এই অথর্ব প্রশাসনের নিন্দা জানাই।’

মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড এ কে এম গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকালে প্রক্টরিয়াল টিমের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ জানান।

প্রক্টর গোলাম রাব্বানী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ক্যাম্পাসে বিভিন্ন প্রতিবাদ আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কখনও শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়নি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উদারতাকে যেন কেউ অন্যভাবে ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়কে সবকিছুতে জড়ানোর চিন্তাভাবনা কারও জন্য কল্যাণকর নয়। সুতরাং যে পক্ষই এখানে জড়িত থাকুক, উভয় পক্ষের কাছে সংযত আচরণ এবং শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আমরা অনুরোধ করব।’

এ বিভাগের আরো খবর