করোনা মহামারির সময়ে মানব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পেশাদারত্ব বজায় রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
শনিবার ‘উন্নয়নশীল দেশসমূহে পৌর ও মানব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ওয়েস্টসেফ-২০২১ উদ্বোধনে এমন আহ্বান জানান ইউজিসির সদস্য ও সম্মেলনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কারিগরি জ্ঞানের পাশাপাশি পেশাদার মনোভাব, জনসচেতনতা তৈরি এবং স্থানীয় ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিশ্রুতি জরুরি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পেশাদারত্ব বজায় রাখা সম্ভব হলে এ ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসবে।’
করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তে ভার্চুয়ালি সম্মেলনটি শুরু হয়েছে। উদ্বোধনে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
প্রফেসর আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশসমূহের জন্য এই সম্মেলন সার্বিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দেশ-বিদেশের নবীন গবেষকদের উদ্ভাবন এই সম্মেলনে উন্মোচিত হবে।’
দেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কৌশল, পরিবেশ ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট, কারিগরি বিষয়ে অভিজ্ঞতা এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে নতুন নতুন কৌশল উদ্ভাবনের লক্ষ্যে সপ্তমবারের মতো সম্মেলনটি হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
এ ছাড়া ওয়াটার এইডের রিজিওনাল ডিরেক্টর (সাউথ এশিয়া) ড. খাইরুল ইসলাম, জার্মানির বা’হস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর একার্ড ক্রাফ্ট, ইতালির প্যাডোভা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর রাফায়েলো কসু ও প্রফেসর মারিয়া ক্রিস্টিনা লাভাগনলো এবং কুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন বক্তব্য দেন।
আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে পাঁচ দেশের ৭০ জন বিজ্ঞানী, গবেষক, প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ, শিক্ষাবিদ, শিক্ষার্থী ও পেশাজীবী অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে ১০ সেশনে একটি থিম পেপার, চারটি কি-নোট পেপার ও ৩৫টি কারিগরি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে।
২০০৯ সাল থেকে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনটি দুই বছর পর পর কুয়েট ক্যাম্পাসে হবে।