জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা টিকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনের সড়কে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
পয়লা মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া ও শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জানান, করোনার মধ্যেই সারা দেশে সব কার্যক্রম চলছে। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রেখেছে সরকার। এতে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সেশনজটে পড়ছেন। তাদের শিক্ষাজীবন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বলেন, ‘লকডাউনের কিছুদিন পর থেকে অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়। কিন্তু আমাদের অনেকেই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকায় তাদের পক্ষে এতে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয় না।
‘এ পর্যন্ত যতগুলো অনলাইনে ক্লাস হয়েছে, তার অভিজ্ঞতা থেকে আমরা বলতে পারি, এমনকি সরকার ও প্রশাসনও বলতে পারবে যে অনেক ছাত্র-ছাত্রী কিন্তু একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেননি।’
আরিফ আরও বলেন, ‘মে মাসে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছে। কিন্তু তিন মাস অপেক্ষা করার মতো ক্ষমতা আমাদের ছাত্রদের নেই। এরই মধ্যে ২ লাখের বেশি মানুষকে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে।
‘যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ক্ষেত্রে করোনার সংক্রমণ একটা বাধা হয়ে থাকে, তাহলে সরকার চাইলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সারা দেশের আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করে দিতে পারে।’
আরেক শিক্ষার্থী বাংলা বিভাগের জহির ফয়সাল বলেন, ‘আমরা জানি, এই করোনা সময়ে বাংলাদেশে সব কিছু চলছে। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার সার্বিক কার্যক্রম বন্ধ। আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা ২৬ মাস ধরে একই বর্ষে পড়ালেখা করছি। এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক, কষ্টের ও লজ্জাজনক।
‘তাই সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান, অতি শিগগির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হোক। শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যা যা প্রয়োজন সেটার ব্যবস্থা নেয়া হোক। পয়লা মার্চের মধ্যে টিকা দিয়ে হলেও আমরা স্বভাবিক শিক্ষাজীবনে ফিরে যেতে চাই।’