চলমান ও আসন্ন সব পরীক্ষা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত মোড় অবরোধের প্রেক্ষাপটে এ বিষয়ে জরুরি সভার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও দাবি দাওয়ার বিষয়ে সন্ধ্যা ছয়টায় ভার্চুয়াল সভাটি হবে।
এতে যুক্ত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রোভিসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের সমন্বয়কসহ সাত কলেজের অধ্যক্ষরা।
নীলক্ষেত ছাড়ছেন না শিক্ষার্থীরা
সরকার জরুরি সভা ডাকলেও দাবি আদায়ের আগে নীলক্ষেত অবরোধ থেকে সরবেন না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, নীলক্ষেত থেকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে হবে সরকারকে। শিক্ষামন্ত্রীর প্রেস ব্রিফিং পর্যন্ত তারা এখানে থাকবেন।
পরীক্ষা সচল রাখা ছাড়া অন্য কোনো সিদ্ধান্ত এলে এই আন্দোলন চালু রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
সরকারি তিতুমীর কলেজের ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আল মামুন আকন্দ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ২০১৯ সালের পরীক্ষা দিচ্ছি ২০২১ সালে। সর্বশেষ পরীক্ষাটা আজকে (বুধবার) হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি আর নেয়া হয়নি৷ আমরা আমরা লিখিত এবং সুনির্দিষ্ট রুটিন ছাড়া এখান থেকে যাব না।’
চলমান পরীক্ষার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আন্দোলনে নেমেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: সাইফুল ইসলাম
ঢাকা কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এমবিএর শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের সেশনের পাবলিক ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা সবাই তাদের এমবিএ শেষ করে ফেলেছে। কিন্তু আমরা এখনও ক্লাস-পরীক্ষায় কিছুই ঠিকমতো পাচ্ছি না। এর দায়ভার কে নেবে?
‘আমাদের বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষা চলমান। কিন্তু গতকাল হুট করে সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন নয় সরকারের সিদ্ধান্ত জানতে হবে নীলক্ষেত এসে।’
সরকারি বাংলা কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তারেক আজিজ বলেন, ‘গত ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা৷ নেয়া হয়েছিল আটটি পরীক্ষা। সর্বশেষ পরীক্ষা আজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে গতকাল সব স্থগিত করে দেয়া হয়েছে।’