বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাবিতে নেই শিক্ষার্থীরা, সিলগালা হল

  •    
  • ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১২:৪১

আল বেরুনী হলের নিরাপত্তাকর্মী ফজলুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই হলে ২০ থেকে ২৫ শিক্ষার্থী ছিল। রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসে শিক্ষার্থীদের বোঝালে কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই তারা হল থেকে চলে যায়।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ছেড়ে গেছেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসেও দেখা যায়নি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের।

হলের নিরাপত্তাকর্মীরা বলছেন, প্রশাসনের লোকজন এসে বোঝানোর পর শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছায় হল ছেড়ে গিয়েছেন।

বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে যেসব হলে আন্দোলকারী শিক্ষার্থীরা উঠেছিলেন. সেগুলোর গেট সিলগালা করা।

মঙ্গলবার রাতেই শহীদ রফিক-জব্বার, সালাম-বরকত, আল বেরুনী ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল সিলগালা করার কথা নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান।

বুধবার সকালে সিলগালা অবস্থায় দেখা যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, এমএইচসহ সাত থেকে আটটি হল।

আল বেরুনী হলের নিরাপত্তাকর্মী ফজলুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই হলে ২০ থেকে ২৫ শিক্ষার্থী ছিল। রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসে শিক্ষার্থীদের বোঝালে কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই তারা হল থেকে চলে যায়।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নিরাপত্তাকর্মী ফারুক হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু হলে ১০ থেকে ১২ শিক্ষার্থী ছিলেন। রাতেই তারা হল ছেড়ে চলে গেছেন।

মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে হলে ঢুকতে না পারার কথা নিউজবাংলাকে জানান ৪৬তম আবর্তনের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ইমরান আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘রাতেই প্রভোস্টরা হলে গিয়ে বলেন যেসব শিক্ষার্থী হলে আছেন তাদের দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেবে না। পরে অনেক শিক্ষার্থী হল ছেড়ে চলে যায়। আমাদের অনেকে যারা বিভিন্ন হলে ছিলাম তাদের বের করে দেয়া হয়েছে।’

তবে বুধবার সকালে গিয়ে ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাউকে দেখা যায়নি। এ সময় কয়েকজনকে ফোন করা হলেও সাড়া মেলেনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান গত রাতে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রভোস্টরা হলগুলোতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়েছে সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানাতে। শিক্ষার্থীরাও বিষয়টি বুঝতে পেরে রাতেই শিক্ষার্থীরা হল ছেড়েছেন। বাকি শিক্ষার্থীরাও হল ছেড়ে চলে যাবেন বলে জানিয়েছেন।’

বুধবার সকালে ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাউকে দেখা যায়নি। ছবি: নিউজবাংলা

গত শুক্রবার ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী গেরুয়া গ্রামের স্থানীয় লোকজনের হামলার শিকার হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। শনিবার তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজের সই করা এক জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এই নির্দেশ যারা মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারিও দেয় প্রশাসন।

তবে সোমবারও হলে থাকাসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ে অনড় থাকেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ওই দিন সকালে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন মেয়েরা।

একই দিন সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, আগামী ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল খুলে দেয়া হবে। ক্লাস শুরু হবে ২৪ মে থেকে।

সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে সোমবারও হলেই ছিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে মঙ্গলবার দুপুরে হল ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

সংগঠনের পক্ষে গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক নীলাদ্রি শেখর বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী বলার পর কালকে রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে নির্দেশনা আসছে যে, হলে থাকা যাবে না। সেই জায়গা থেকে আমরা যারা ছাত্রলীগ করি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে অমান্য করার সুযোগ নেই আমাদের। ওই নির্দেশনায় হয়তো কিছু সময়ের মধ্যে আমরা জাবি শাখা ছাত্রলীগ হল ছেড়ে দেবো।’

এ সময় তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও হল ছাড়ার আহ্বান জানান।

এ বিভাগের আরো খবর