দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও, স্কুল-কলেজের বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার।
সোমবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল আগামী ১৭ মে থেকে খুলে দেয়া হচ্ছে। ক্লাস শুরু হবে ২৪ মে।
এ সময় স্কুল-কলেজ খোলা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি মন্ত্রী। জানান, ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আছে। এই সময়ের মধ্যে সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে স্কুল কলেজ খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
- আরও পড়ুন: হল খুলছে ১৭ মে, ক্লাস শুরু ২৪ মে
তবে এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় আছে। স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার বিষয়ে আগামী পাঁচ-ছয় দিনের মধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করা হবে।
সচিব বলেন, ‘আগে আমরা প্রিভিউ করব খুলব কি না, কখন খুলব, কুইকলি খোলা যায় কি না। কী পদ্ধতিতে খুলব যাতে সেফটিও ঠিক থাকে, পড়ালেখাটাও হয়। কারণ, অনেক দিন হয়ে গেছে।’
গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ধাপে ধাপে সাত দফা ছুটি বাড়ানো হয়েছে। সব শেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে খুদে শিক্ষার্থীদের মানসিকতায়।
শিক্ষার্থীদের শিক্ষাঙ্গনে ফিরিয়ে আনতে ভাবছে সরকারও। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল বলেন, ‘ইউরোপে ইংল্যান্ড ছাড়া সব দেশেই স্কুল-কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা আছে। তো সেসব দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইনস্ট্রাকশন দিয়েছেন, বসে চিন্তাভাবনা করে আমরা খুলে দিতে পারি কি না।’
শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরানোর লক্ষ্যেই সকল শিক্ষক ও কর্মচারীকে টিকা দেয়া হবে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে গ্রামগঞ্জে ছেলেমেয়েরা খুব ফ্রিলি মুভ করছে। এসব বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষক এবং কর্মচারীদের ভ্যাকসিনটা আগে নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ সপ্তাহে না হলে আমরা আগামী রবি-সোমবারের মধ্যে বসে যাব। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এক্সপার্ট, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, আইনশৃঙ্খলা- সবাইকে নিয়ে বসতে। আশা করি পাঁচ-ছয় দিনের মধ্যে বসে আমরা আলোচনা শুরু করব।’