মসজিদে ঘোষণা নিয়ে হামলার জেরে ক্যাম্পাসসংলগ্ন গেরুয়া গ্রামের রাস্তা বন্ধ এবং হামলার বিচারসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে ক্যাম্পাসে মিছিল নিয়ে বের হন চার-পাঁচশ শিক্ষার্থী। এরপর উপাচার্য ড. ফারজানা ইসলামের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা।
সেখানে শিক্ষার্থীদের পক্ষে দাবিগুলো তুলে ধরেন সামিয়া জামান লিতু। দাবিগুলো হলো শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার নিশ্চিত করা, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গেরুয়া গ্রামে যাওয়া-আসার যে ফটকটি আছে, সেখানে প্রাচীর তুলে ফটকটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া, আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়া এবং হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা।
দাবি পূরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বেলা ২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাস থমথমে।
দাবিগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফিরোজ উল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিচার ও মামলার বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে।’
হল খুলে দেয়ার বিষয়ে প্রক্টরের বক্তব্য, এটা যেহেতু রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপার, তাই এ ব্যাপারে উপাচার্য উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রাচীর নির্মাণের বিষয়টিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিবেচনায় আছে বলে জানান ফিরোজ উল হাসান। আর ক্ষতিপূরণের বিষয়ে তিনি বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এ ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
চার দফা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মিছিল। ছবি: নিউজবাংলা
শুক্রবার সন্ধ্যায় মসজিদের মাইকে গ্রামে ডাকাত পড়ার গুজব ছড়িয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ক্যাম্পাসসংলগ্ন গ্রাম গেরুয়ার একদল স্থানীয় লোক। এতে আহত হয় অন্তত ৩০ জন, তাদের মধ্যে অধিকাংশই শিক্ষার্থী। রাত ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে চলে সংঘর্ষ।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে এ হামলা ও সংঘর্ষ হয়েছে।
হামলার পর গ্রামটি ছাড়তে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। অন্য এলাকায় পরিচিতদের বাসায় রাত যাপন করতে হয় তাদের।