বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরীক্ষার্থীদের থেকে বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ

  •    
  • ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২১:৩৬

বিনা রশিদে ফরম পূরণের সময় বাড়তি টাকা নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। জানানো হয় প্রবেশপত্র নেয়ার সময়ও টাকা দিতে হবে। আর তা নাহলে প্রবেশপত্র দেয়া হবে না। বাধ্য হয়ে বিনা রশিদে ৩০০ টাকার বিনিময়ে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করেন শিক্ষার্থীরা। আর ফরম পূরণ বাবদ নিচ্ছে প্রায় আড়াই হাজার টাকা।

কিশোরগঞ্জের ইটনায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজে ডিগ্রি পরীক্ষার ফরম ফি ও প্রবেশপত্রের জন্য বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের একাধিক শিক্ষার্থী নিউজবাংলাকে জানান, ফরম পূরণের সময় বিনা রশিদে বাড়তি টাকা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পরে জানানো হয় প্রবেশপত্র নেয়ার সময়ও টাকা দিতে হবে। আর তা নাহলে প্রবেশপত্র দেয়া হবে না। বাধ্য হয়ে ৩০০ টাকার বিনিময়ে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করেন শিক্ষার্থীরা। এজন্য কোনো রশিদ দেয়া হয়নি।

ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার্থী রিয়াদুল হাসান হৃদয় নিউজবাংলাকে বলেন, ১২৯ জন পরীক্ষার্থীর প্রত্যেকের কাছ থেকে ফরম পূরণের জন্য ২ হাজার ৪০০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। পরে আবার প্রবেশপত্রের জন্য ৩০০ টাকা করে নেয়া হয়।

আরেক শিক্ষার্থী আরিয়ান হাসান উজ্জ্বল জানান, তার চাচাতো ভাই তোফাজ্জল হোসেনের কাছ থেকেও ফরম পূরণের জন্য ২ হাজার ৫০০ টাকা নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। আবার প্রবেশপত্রের জন্য দিতে হয়েছে ৩০০ টাকা। তাকেও কোনো রশিদ দেয়া হয়নি।

তবে শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে বাড়তি টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করছেন কলেজের প্রধান অফিস সহকারী মো. গিয়াসউদ্দীন।

তিনি জানান, এ বছর ১৩০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ৮৬ জন নিয়মিত, ৪৪ জন অনিয়মিত। নিয়মিতদের কাছ থেকে কেন্দ্র ফি ৩০০ টাকা নেয়া হয়েছে। আর যারা এক বা দুই বিষয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে ২০০ টাকা করে। অন্য কোনো ফি নেয়া হয়নি।

কলেজের অধ্যক্ষ ইসলাম উদ্দীন বলেন, প্রবেশপত্র নয়, কেন্দ্র ফির জন্য ৩০০ করে টাকা নেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কেন্দ্র ফি মূলত ৪৫০ টাকা। কিন্তু করোনার কারণে ১৫০ টাকা কমিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে নেয়া হয়েছে।

তবে বিনা রশিদে টাকা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তর দেননি অধ্যক্ষ ইসলাম উদ্দীন।

ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিসা আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, এ বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর