বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১৫ বছরেও অপূর্ণাঙ্গ জবির ওয়েবসাইট

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২২:৩৫

এক যুগ পার হয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে নেই প্রতিটি বিভাগের শিক্ষকদের ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য। কোনো শিক্ষকের শুধু ছবি আছে, তার সর্ম্পকে নেই তথ্য। আবার কোনো শিক্ষক সম্পর্কে তথ্য থাকলেও নেই ছবি। বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান দায়িত্বে নিযুক্ত থাকা শিক্ষকরা বায়োডাটা আপডেট করেননি। এর জন্য শিক্ষক ও আইটি কাজে সংশ্লিষ্টরা দুষছেন একে অপরকে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পরেও মানসম্মত ওয়েবসাইট নির্মাণ ও সঠিকভাবে তথ্য হালনাগাদ করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এক যুগ পার হয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে নেই প্রতিটি বিভাগের শিক্ষকদের ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য। কোনো শিক্ষকের শুধু ছবি আছে, তার সর্ম্পকে নেই বিস্তারিত তথ্য। আবার কোনো শিক্ষক সম্পর্কে তথ্য থাকলেও নেই ছবি। বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান দায়িত্বে নিযুক্ত থাকা শিক্ষকরা বায়োডাটা আপডেট করেননি। এর জন্য শিক্ষক ও আইটি কাজে সংশ্লিষ্টরা দুষছেন একে অপরকে। একই সঙ্গে রয়েছে সমন্বয়হীনতাও।

ওয়েবসাইট ঘুরে দেখা যায়, ওয়েবসাইটে প্রতিটি বিভাগের জন্যে আলাদা আলাদা সেকশন আছে। কোনো কোনো ডিপার্টমেন্টের পাবলিকেশন, ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও মেসেজ ফ্রম চেয়ারম্যান সেকশন ছাড়া বাকি সেকশনগুলোতে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

অনেক বিভাগের তথ্য হালনাগাদ বা পূর্নাঙ্গ নেই। শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ও ইনস্টিটিউট অফ মর্ডান ল্যাঙ্গুয়েজের শিক্ষকদের সম্পর্কে নেই ছবিসহ কোনো বিস্তারিত তথ্য।

এ দুটি সেকশনে শুধু শিক্ষকদের মোবাইল নাম্বার ও পদবি দেয়া আছে। এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট, হল অফ রেসিডেন্স, টিউশন অ্যান্ড ফি, কন্টাক্ট ফর অ্যাডমিশন, গ্র্যাজুয়েট অ্যাডমিশন, আন্ডারগ্র্যাজুয়েট অ্যাডমিশন সেকশনে প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।

স্কলারশিপ, ট্রান্সপোর্ট, ইনফ্রাস্ট্রাকচারাল ডেভলপমেন্ট, ফিজিক্যাল এডুকেশন সেন্টার সেকশনে তথ্যের বিবরণী থাকলেও সঙ্গে নেই কোনো ছবি। আবার মেডিক্যাল সেন্টার, ক্যাফেটেরিয়া, সাইবার সেন্টার সেকশনে ছবি থাকলেও নেই তথ্যের বিবরণ।

জার্নাল অফ সায়েন্স, জার্নাল অফ ল, জার্নাল অফ সোশ্যাল সায়েন্স, জার্নাল অফ বিজনেস স্ট্যাডিজ, জার্নাল অফ সাইকোলজি, জার্নাল অফ আর্টস, জার্নাল অফ ইকোনমিকস, জার্নাল অফ সিএসসি, জার্নাল অফ লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স নামে আলাদা আলাদা সেকশন আছে।

তবে একটিতেও নেই জার্নাল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের হালনাগাদ। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ফ্যাকাল্টি টিচার্স সেকশনে শুধুমাত্র পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, উদ্ভিদবিদ্যা, সাইকোলজি, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষকদের তথ্য দেয়া আছে।

এর মধ্যে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তালিকা পাওয়া গেলেও বাকি পাঁচটি বিভাগের শুধু নাম আছে। কিন্তু ভেতরে কোনো তথ্য নেই। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি অন্যান্য বিভাগগুলোর সম্পর্কে নাম ও তথ্য কোনোটাই দেয়া নেই।

ওয়েবসাইটের নিচে কুইক লিঙ্ক নামে একটা আলাদা বিভাগ রয়েছে। যেখানে রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন, হেকেপ (হাইয়ার এডুকেশন কোয়ালিটি এনহেন্সমেন্ট প্রজেক্ট), অ্যাসোসিয়েশন অফ জেএনইউ, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার, জেএনইউ অ্যালামনাই সেকশনে ক্লিক করে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

শিক্ষকদের তথ্য হালনাগাদ না থাকার বিষয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আমিন বলেন, ‘আসলে বিভাগ ও আইটি সেল সমন্বয় করে এটা করা হয়। আমি শিক্ষকদের বলেছিলাম তাদের বায়োডাটা হালনাগাদ করতে। এটা শিক্ষকদের কাজ ঠিক আছে কিন্তু তারা করে নাই। আমরা এ বিষয়ে এখন উদ্যোগ নিব।

অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের তথ্য হালনাগাদ সম্পর্কে জানতে চাইলে অ্যালামনাই গঠনতন্ত্র নিয়ে কাজ করা প্রস্তাবনা কমিটির সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নিউটন হাওলাদার বলেন, ‘আমরা গঠনতন্ত্র নিয়ে কাজ করছিলাম। করোনাভাইরাসের কারণে এটা পূর্ণাঙ্গ হয়নি। এটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলে আন্তরিক। আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি। অপূর্ণাঙ্গ তথ্য তো আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে তো দেয়া যায় না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার আচার্য্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের বা শিক্ষকের দায়িত্ব তারা নিজেরা তাদের বায়োডাটা হালনাগাদ করবে। প্রত্যেক শিক্ষককে পাসওয়ার্ড দেয়া আছে, তারা নিজেরাই হালনাগাদ করার জন্য। আমাদের কাছে জার্নাল বা গবেষণার যা তথ্য আসে, সেগুলো আমরা হালনাগাদ করি। জার্নাল না আসলে আমরা কীভাবে হালনাগাদ করব। অ্যালামনাই সম্পর্কে কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই, যদি থাকত আমরা হালনাগাদ করে দিতাম।’

তিনি বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল সম্পর্কে রিসার্চ সেল থেকে যে তথ্য দেয়া হয় তা আমরা আপডেট করি। তারা না দিলে আমাদের কিছু করার নেই।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, ‘আপনি আইটি সেলের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলুন। উনি যা বলবে তাই ঠিক। উনি কীভাবে মেইনটেইন করে কাজ করেন উনি ভালো বলতে পারবে।’

এ বিভাগের আরো খবর