রংপুরের বেসরকারি নর্দান মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির পর প্রতারণার কবলে পড়া শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এইচ এম এনায়েত হোসেনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন।
সোমবার দুপুরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার শেষে এনায়েত হোসেন চলে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা মাইগ্রেশন করে অন্য মেডিক্যাল কলেজে লেখাপড়া করার দাবি জানান।
রোববার রাতে ভাড়া বাকির অভিযোগে নর্দান মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাস করা ৩২ নেপালি শিক্ষার্থীকে কলেজের ভাড়া করা হোস্টেল থেকে বাসার মালিক বের করে দেন। থানায় সাধারণ ডায়েরির (জিডি) পর পুলিশের হস্তক্ষেপে তারা রাতেই হোস্টেলে ওঠেন।
তারা ইন্টার্নশিপের দাবিতে দেড় মাস ধরে আন্দোলন করছিলেন।
নর্দান মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী হাসনাইন রফিক জানান, বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষে নেপালের ৩২ শিক্ষার্থীকে প্রলোভন দেখিয়ে ভর্তি করে নর্দান কর্তৃপক্ষ। অথচ তাদের বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনুমোদন নেই।
নেপালি শিক্ষার্থী ছাড়াও তিন শতাধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ওই কলেজে লেখাপড়া করছেন। কর্তৃপক্ষ বারবার আশ্বাস দেয়ার পরও কোর্স পরিচালনায় কোনো অনুমোদন আনতে পারেনি। এমনকি ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে যারা ভর্তি হয়েছেন, এমবিবিএস পাস করলেও তাদের ইন্টার্নশিপের কোনো ব্যবস্থা করতে পারেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এমবিবিএস শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আকলিমা আখতার বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে এখানে ভর্তি করিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ কর্তৃপক্ষ যে প্রতারক, তা আমরা জানতাম না। বিএমডিসি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনুমোদন নেই সেটাও আমাদের বলা হয়নি। এমন অবস্থায় আমাদের শিক্ষাজীবন রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ঘটনাস্থল থেকে ডিজি এইচ এম এনায়েত হোসেন দ্রুত চলে যান।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ নুরুন্নবী লাইজু বলেন, ‘নর্দানের শিক্ষার্থীদের বিষয়টি ঢাকায় গিয়ে দেখবেন ডিজি।’